মুহিবুল্লাহর খুনিদের ছাড় নয় : ড. হাছান মাহমুদ

287

চট্টগ্রাম, ৮ মে, ২০২১ (বাসস) : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহ খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় নয়। ‘তবে নিরপরাধ কেউ এই মামলায় আসামী হয়ে থাকলে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের রেহাই দেবে। মামলায় আসামী হয়নি তবে পুলিশের তদন্তে যদি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাদেরও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে’।
হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তথ্য মন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
গত ৩ এপ্রিল রাতে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি-জামাত ও হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। সেখানে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সাধারণ মানুষের কাছে মুহিবুল্লাহ’র খুনিদের বিচার চেয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ আগে কর্ণফুলি নদী বিধৌত এই কোদালা ইউনিয়নের সড়ক দিয়ে হাঁটা যেতো না, প্যান্ট তুলে কাদা মাড়িয়ে হাঁটতে হতো। এতগুলো নদীর ঘাট হয়নি, নদী ভাঙন রক্ষায় ব্লক হয়নি, সব আমাদের সরকার করেছে। বড় বড় কথা বলে মিছিল করবেন, আবার সেই মিছিল থেকে আমাদের কর্মীদের হত্যা করবেন, তা হতে পারে না।,
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে আ.লীগ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে, সেই জামায়াত-বিএনপি করোনাকালীন এই বিপদে সাধারন মানুষের পাশে নেই। কোন মানুষকে তারা এক মুষ্টি চালও দেয়নি। অথচ করোনার প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে।
তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ করোনার প্রথম দফায় আমার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ার ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ইতিমধ্যে আরো ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাক সওদাগরের পরিচালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কাউছার নূর লিটন এবং সদস্য নাছির উদ্দিন। এসময় ইউনিয়নের ৪’শ দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেয়া হয়।
এরআগে তথ্য মন্ত্রী নিহত মুহিবুল্লাহর কবর জেয়ারত করেন এবং তার পরিবারকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি সিএনজি অটোরিক্সা উপহার দেন। এসময় তিনি প্রয়াতের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।