জিয়াউর রহমান যখন শিশু পার্ক তৈরি করেন তখন পরিবেশবাদীরা কোথায় ছিলেন : নানক

347

ঢাকা, ৮ মে, ২০২১ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু পার্ক তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলি মুছে ফেলল তখন পরিবেশবাদী বা বুদ্ধিজীবীরা কোথায় ছিলেন?
তিনি বলেন, ‘ জিয়াউর রহমান ওই শিশু পার্ক তৈরি করে যখন স্মৃতিচিহ্নগুলি মুছে ফেলল, তখন কিন্তু পরিবেশবাদীদেরকে দেখা গেল না? পরিবেশবাদীরা বা বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু সেদিন বিরোধীতা করল না? প্রতিবাদ করল না, এটি দুঃখজনক এবং দুভার্গ্যজনক।’
জাহাঙ্গীর কবির নানক আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটি উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মচারী ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির কর্মচারীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে স্মৃতি তুলে ধরার জন্যই এক বিশাল প্রকল্প নেয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য বলেন, পাকিস্তান আমলের রেসকোর্স ময়দান, সেই রেসকোর্স একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার মধ্য দিয়ে সেদিন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বদেশে ফিরে এসে সেই উদ্যানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্যাত করলেন এবং সেখানে বৃক্ষরোপণ করলেন।
তিনি বলেন, আজকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন সেই স্থানটি এবং শক্তিশালি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার পর তাদের স্যালেন্ডার যেখানে হয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে সেই জায়গাটি নষ্ট করা হয়েছিল ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেদিন জোর করে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানই তো ওই শিশু পার্ক করার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্নগুলি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।
অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল ধনীক শ্রেণীর মানুষেরা, অর্থশালী মানুষেরা মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আপনার যাকাত দিয়ে দুস্থ গরীব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষ তো মানুষের তরে। মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।
ত্রান ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমুতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী।