ঢাকা, ৮ মে, ২০২১ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রেম-বিরহ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ, সংকটে-সাফল্যে রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রেরণার উৎস। তাই এই করোনাকালেও রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বার্তায় কে এম খালিদ আরো বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যকে সমগ্র বিশ্বে পরিচিত করেছেন। বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তাঁর পদচারণা নেই। বাঙালির অস্বিত্ব ও সংস্কৃতির সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওতপ্রোতভাবে মিশে আছেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিতেই আমরা তাঁর রচিত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নিই। ’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিন্তা, চেতনা ও অনুভূতিকে সার্থকভাবে প্রতিফলিত করে বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম বিশেষত কবিতা ও গান বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে নিরন্তর উদ্দীপ্ত রেখেছিল।
বাঙালির মানসপটে রবীন্দ্রনাথ সদাই বিরাজমান উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেন বলে গেছেন সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা। বাংলার সাধারণ, মধ্যবিত্ত ও মাটির মানুষকে সাহিত্যে রূপ দিয়ে তাঁদেরকে আড়াল থেকে আলোকবৃত্তে টেনে আনার গৌরব অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার রোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের আওতায় বর্তমানে জনসমাগমপূর্ণ সকল অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেজন্য দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করার জন্য সবাইকে আহবান জানান কে এম খালিদ ।