জয়পুরহাটে ভ্রাম্যমাণ সেলস সেন্টারে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি

338

জয়পুরহাট, ৮ মে, ২০২১ (বাসস) : কোভিড ১৯ মোকাবেলা ও রমজান মাস উপলক্ষে জয়পুরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হওয়া ভ্রাম্যমাণ সেলস সেন্টারে এ পর্যন্ত মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রাণি সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১৭টি টিম শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দানসহ জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে গত ১০ এপ্রিল থেকে। ৫ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ওই সেলস সেন্টার গুলো থেকে বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮০ টাকার দুধ, ডিম ও মাংস। এ গুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ ৩২ হাজার ৫৬৫ লিটার, ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩৬০ পিচ ডিম, গরুর মাংস ৫ হাজার ৩১৮ কেজি ও খাসির মাংস এক হাজার ৬৬ কেজি। করোনার প্রার্দুভাবের কারণে খামারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আবার সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের বিষয়টি মাথায় রেখে জেলার খামারীদের নিকট থেকে দুধ, ডিম ও মাংস সংগ্রহ করে ন্যায্য মূল্যে সাধারণ ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। শুরু থেকেই ভ্রাম্যমাণ ভাবে ১৭টি টীমের ওই দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির স্থান গুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। সেলস সেন্টার গুলোতে বাজার মূল্য থেকে তুলনামূলক কম দামে পণ্য গুলো বিক্রি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ সেন্টার গুলোতে বর্তমানে ডিম ২৪ টাকা হালি, দুধ ৫০ টাকা কেজি ও মুরগির মাংস সোনালী ২১০ টাকা কেজি, বয়লার ১২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৩০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৬৮০ টাকা ও গরুর মাংস ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে বাজার দর কম বেশীর উপর প্রতিদিন এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কোভিড ১৯ এর কারণে খামারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং রমজান মাস উপলক্ষে ক্রেতা সাধারণের আমিষের ঘাটতি যাতে না হয় এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভাবে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হয় বলে জানান, জেলা প্রণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহফুজার রহমান।