রোমার কাছে হেরেও ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইউনাইটেড, শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল

184

লন্ডন, ৭ মে ২০২১ (বাসস) : স্তাদিও অলিম্পিকোতে স্বাগতিক রোমার কাছে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়েও দুই লেগ মিলিয়ে ৮-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আগামী ২৬ মে গাদানাস্তার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল। আরেক সেমিফাইনালে স্প্যানিশ দলটি আর্সেনালের সাথে গোলশুণ্য ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে।
প্রথম লেগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওলে গানার সুলশারের দল ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ইতালিয়ান জায়ান্টদের। এডিনসন কাভানির ৩৯ ও ৬৮ মিনিটের গোলে ইউনাইটেডের ফাইনালের জায়গা নিশ্চিত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ব্যবধানে এডিন জেকো ও ব্রায়ান ক্রিস্টেন্টের গোলে রোমা ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল। এ্যালেক্স টেলেসের আত্মঘাতি গোলে ম্যাচ শেষে সাত মিনিট আগে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত হলেও প্রথম লেগের বড় ব্যবধানের পরাজয় থেকে বেরিয়ে আসা সহজ ছিলনা।
ম্যাচের শুরুতেই গিয়ানলুকা মানচিনির শট দারুনভাবে রুখে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। শুরু থেকেই কাভানি নিজেকে বিপদজনক প্রমান করে আসছিলেন। প্রথমে তার একটি শট বারে লেগে ফেরত আসে। এরপর রোমা গোলরক্ষক এন্টোনিও মিরান্টে রুখে দেন। শেষ পর্যন্ত বিরতির ৬ মিনিট আগে ডেডলক ভাঙ্গেন এই উরুগুইয়ান অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। ব্রুনো ফার্নান্দেসের কাছ থেকে বল নিয়ে শক্তিশালী শটে মিরান্টেকে পরাস্ত করেন। বিরতির পরে ডি গিয়া আবারো হেনরিক মাখিটারিয়ান ও জেকোকে হতাশ করেন। ৩৩ বছর বয়সী জেকো ৫৭ পেড্রোর ক্রস থেকে সমতা ফেরান। তিন মিনিট পর লোরেঞ্জো পেলেগ্রিনির এসিস্টে ক্রিস্টেন্টে রোমানদের আশাবাদী করে তুলেন। জেকোর হেড ও পেড্রোর একটি শট রুখে দিয়ে ডি গিয়া অকল্পনীয় ভাবে ইউনাইটেডকে রক্ষা করেন। ৬৮ মিনিটে আবারো ফার্নান্দেসের সহযোগিতায় কাভানি গোল করলে রোমার আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যাচের শেষ ভাগে টেলেসের আত্মঘাতি গোলে রোমা সান্তনার জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। আগামী মৌসুমে ইউনাইটেডের সাবেক ম্যানেজার হোসে মরিনহোর অধীনে নতুন এক রোমাকে দেখার আশায় থাকলো সমর্থকরা।
ইউনাইটেড ফাইনালে গেলেও আশাভঙ্গ হয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ভিয়ারিয়ালের সাথে গোল শুন্য ড্র করায় তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। আর এই পরাজয়ে টানা পঞ্চম মৌসুমের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা থেকে বঞ্চিত হলো গানার্সরা। একই সাথে কোচ মিকেল আর্তেতার উপর চাপও বাড়লো। প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে নবম স্থানে থাকা আর্সেনালের সামনে ২৬ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান আসর থেকে ছিটকে যাবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আর্তেতা বলেছেন, ‘আমরা সবদিক থেকেই শেষ হয়ে গেলাম। শেষ মিনিট পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি আজকের ম্যাচে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলাফলই সব কিছুর উত্তর দিয়ে দেয়।’
আর্সেনালের সাবেক বস উনাই এমেরির নেতৃত্বে ভিয়ারিয়াল প্রথম লেগের মত কালও গানার্সদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছে। আর্সেনালও অবশ্য কম যায়নি। পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং দুইবার পোস্টে বল লাগিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমিলে স্মিথ রো একটি দারুন সুযোগ নষ্ট করেছেন।
এনিয়ে পঞ্চমবারের মত ইউরোপা লিগের ফাইনালে কোন দলকে পরিচালনা করতে যাচ্ছে এমেরি। এর আগে তিনবার সেভিয়ার হয়ে শিরোপা জয়ের পর আর্সেনালকে ২০১৯ সালের ফাইনাল উপহার দিয়েছিলেন। আর্সেন ওয়েঙ্গারের স্থলাভিষিক্ত হবার ১৮ মাসের মাথায় আর্সেনাল থেকে এমেরিকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।