বাসস দেশ-৪৭ : আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকারীরা সমাজ বিরোধী : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

117

বাসস দেশ-৪৭
স্বাধীনতা-বিরোধী
আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকারীরা সমাজ বিরোধী : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ মে, ২০২১ (বাসস): মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকারীরা হচ্ছে এদেশের সমাজ ও স্বাধীনতা বিরোধী এক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এরা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্বাধীনতার পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামীকাল ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি )-এর ১৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। এই উপলক্ষে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীষর্ক এই স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এমপি, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, বাসসের বাংলা বিভাগের প্রধান বার্তাসম্পাদক রুহুল গনি জ্যোতি, সাংবাদিক খান মোহাম্মদ সালেক, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম.এ বারী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা ও নূরুল ইসলাস নূরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক নেতা শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যারা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের রায় এখনো কার্যকর হয়নি। অবিলম্বে যাতে রায় কার্যকর হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর সদর-টঙ্গী আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-(বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা
পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন। তিনি প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবাইকে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার জন্য অনুরোধ জানান।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২০১৭/-আরজি