জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের উন্নয়নে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ

315

জয়পুরহাট, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ভিশন অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালকে ১০০ বেড থেকে ২৫০ বেডে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন স্থানিয় গণপূর্ত বিভাগ।
হাসপাতাল সূত্র বাসস’কে জানায়, ৫০ শয্যা থেকে ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ১শ’ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। অবকাঠামোগত সুবিধা থাকায় একই জনবল দিয়ে ২০০৬ সালের ১৬ জুলাই ১৫০ শয্যার হাসপাতাল চালুর উদ্বোধন করা হয়। জেলার ১০ লক্ষাধিক লোকের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হলেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও স্বাস্থ্য সেবার মান ভাল হওয়ায় পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট, বদলগাছী উপজেলা, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ রোগী আসে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে। ফলে ১০০ বেডের হাসপাতাল হলেও সব সময় আড়াইশ থেকে তিনশ রোগী ভর্তি থাকেন। সে কারণে ১০০ বেডের জনবল দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হতো। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ২৫০ বেডে উন্নীত করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালকে ১০০ থেকে ২৫০ বেডে উন্নীত করার সিদ্ধান গ্রহণ করেন।
ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুমোদিত প্রাক্কলন মূল্য হচ্ছে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এখানে ১২ তলা ফাউন্ডেশনে ৭তলা পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে। ৪০টি গাড়ি রাখার পাকিং বেজমেন্ট সহ, ৪টি লিফ্ট, অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জরুরী বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজি, রেডিওলজি বিভাগ, এ্যানেসথেসিয়া, ইমেজিং বিভাগ, মেল-ফিমেল সার্জারী বিভাগ, গাইনী অবসসহ ক্যান্টিন ও মেডিক্যাল ষ্টোর থাকবে। জেলা গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে জয়েন্ট ভেন্সার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিবিএল-কেটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানা গেছে। আগামী অক্টোবর মাসে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে এবং দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা করছেন জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। জেলা আধুনিক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট্য সমাজসেবক রাজা চৌধুরী বলেন, জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে এবং জেলার সাধারন মানুষ উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পাবেন।