বাসস দেশ-৩৯ : রাজধানীতে ৭৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৫ মাদক পাচারকারী গ্রেফতার

88

বাসস দেশ-৩৯
ইয়াবা উদ্ধার-গ্রেফতার
রাজধানীতে ৭৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৫ মাদক পাচারকারী গ্রেফতার
ঢাকা, ৫ মে, ২০২১ (বাসস) : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রীজ এলাকা থেকে বেদের ছদ্মবেশে মাদক পাচারকালে ৭৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
র‌্যাব-২ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এতথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মো. তারিকুল ইসলাম (২৩), মো. সিনবাদ (২৩), মো. মিম মিয়া (২২), মো. ইমন (১৯) এবং মো. মনির (২৮)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র‌্যাব-২ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা মধ্যপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় এবং সেখান থেকে বেদের ছদ্মবেশ ধারণ করা পাঁচজনকে গ্রেফতার এবং ৭৭ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা বেদে দলের ছদ্মবেশ ধারণ করে মাদক পাচার করে থাকে। এ সময় তারা সঙ্গে থাকা বহনযোগ্য রান্না করার টিনের চুলার ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আনা ইয়াবার কথা স্বীকার করে এবং রান্না করার চুলার নিচের অংশ কেটে তার ভেতর থেকে ৭৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছদ্মবেশ ধারণের সরঞ্জামাদি, রান্নার হাড়ি-পাতিল, বালতি, বহনযোগ্য ডিসপ্লে­ র‌্যাক এবং নানান ধরনের ইমিটেশন অলংকার উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব জানায়,আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে নিয়মিত কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা ও সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আসা ইয়াবা ট্যাবলেট রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে অভিনব কায়দা হিসেবে বেদের ছদ্মবেশ ধারণ করে মাদক বহন করে নিয়ে আসত। মাদক পরিবহনের জন্য টিনের তৈরি সহজে বহনযোগ্য রান্না করার চুলার মধ্যে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা লুকিয়ে তা আবার ঝালাই করে জোড়া লাগিয়ে দিত। তারা মাদকের চালান কক্সবাজার এলাকা থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কখনই মহাসড়ক ব্যবহার করতো না।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র‌্যাবকে আরও জানায়, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসার জন্য তারা মহাসড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে গ্রামের ভেতরের রাস্তা দিয়ে সিএনজি অথবা টেম্পু ব্যবহার করতো। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার জন্য তারা চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে হাটহাজারী-মানিকছড়ি-গুইমারা-রামগড় হয়ে ফেনী আসত। সেখান থেকে তারা নোয়াখালীর- চৌমুহনী- সোনাইমুরী এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হয়ে মতলব লঞ্চঘাট পর্যন্ত আসত। ২য় ধাপে তারা সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে মুন্সিগঞ্জ হয়ে বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতো। এতে করে তাদের ৪/৫ দিন অথবা কোনো সময় এক সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতো । এই দীর্ঘ সময় তারা বেদেদের মতোই জীবন-যাপন করত এবং সাধারণ মানুষের সন্দেহ দূর করতে পথের মাঝে বিভিন্ন মনিহারী দ্রব্য যেমন-চুড়ি, কড়ি, চুল বাধার ফিতা, শিশুদের কোমড়ে বাধার ঘণ্টা, বাতের ব্যথার রাবার রিং ইত্যাদি বিক্রি করতো।
বাসস/সবি/এমএমবি/১৯০৫/-অমি