বাসস দেশ-৩০ : জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক প্রতিবেদন বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল : শাহরিয়ার

673

বাসস দেশ-৩০
জাতিসংঘ-প্রতিবেদন-প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক প্রতিবেদন বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল : শাহরিয়ার
ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০১ (বাসস) : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি (জাতিসংঘের প্রতিবেদন) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই ফসল।’
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান মিশন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্য এবং দেশের আরো কিছু স্থানে গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অভিযোগে বার্মিজ সেনাপ্রধান ও অন্য শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের বিচার দাবি করা হয়েছে।
শাহরিয়ার প্রতিবেদন থেকে খুবই সুসমন্বিত ও তথ্যনির্ভর এবং গতবছরের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযান চালানোর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট অভিহিত করে বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জন¯্রােত প্রবেশের পর থেকে যত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
মিয়ানমারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি খুবই স্বাভাবিক যে, মিয়ানমার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করবে। ‘কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসে না। বিশ্ব সবকিছুই জানে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে সুস্থিরভাবে প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রেখে তৎপরতা চালিয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ এ সংকটের তিনটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেÑ মানবিক, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে যারা অপরাধ সংগঠিত করেছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী গতবছরের আগস্ট মাসে দেশটির কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্রোহী হামলার পর দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নির্মম অভিযান চালায়।
ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানে ২৫ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। আর ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্তকারীরা মিয়ানমারের কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে খুন, গ্রেফতার, গুম, নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব ও অন্যান্য যৌন সহিংসতা, নিপীড়ন ও দাসত্বসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে সংগঠিত অপরাধ ও তা সংগঠিত হওয়ার ধরণ এর প্রকৃতি, তীব্রতা ও ব্যাপকতা অন্যান্য পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার অভিপ্রায় প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া অপরাধের অনুরূপ।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
বাসস/টিএ/অনু-এইচএন/২০৪০/আহা/-আরজি