বাসস ক্রীড়া-১৩ : আগামী প্রজন্মের স্পিনার পেয়ে খুশী শ্রীলংকা

116

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-দ্বিতীয় টেস্ট
আগামী প্রজন্মের স্পিনার পেয়ে খুশী শ্রীলংকা
পাল্লেকেলে, ৩ মে ২০২১ (বাসস) : পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের ২০৯ রানের জয়ে অনভিজ্ঞ স্পিনারদের অবদানে খুশী শ্রীলংকার অধিনায়ক দিমুথ করুনারতেœ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট শিকার ও দলের জয়ের পথ সহজ করেছেন নতুন স্পিনাররা।
এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো শ্রীলংকা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিলো।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক হয় প্রবিন জয়াবিক্রমার। এক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামেন রমেশ মেন্ডিস। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় টেস্টে ১৭ উইকেট নেন।
ম্যাচে ১১ উইকেট নেন জয়াবিক্রমা। এতে বিশ্বের ১৬তম বোলার হিসেবে অভিষেকেই ১০ উইকেটের বেশি শিকারের নজির গড়লেন তিনি। শ্রীলংকার মধ্যে অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারও জয়াবিক্রমার। ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন জয়াবিক্রমা।
ম্যাচ জয়ের পর করুনারতেœ বলেন, ‘আমি তাদের পারফরমেন্সে সত্যিই খুশি। এমন এক সময়, যখন আমাদের কোন অভিজ্ঞ স্পিনার ছিল না, তারা এসে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মতো বোলিং করেছে এবং তাদের পারফরমেন্স ছিলো পরিপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমেশ তার লাইন-লেন্থ এবং যেভাবে চাপ তৈরি করেছে সেদিকে আরও উন্নতি করতে পারে। তবে জয়াবিক্রমা তার শতভাগ দিয়েছে। তিনি এমন একজন বোলারের মতো খেলেছেন যা দেখে মনে হয়নি, তার মাত্র ১০টি প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটি আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য দুর্দান্ত লক্ষণ।’
তিনি আরও জানান, রঙ্গনা হেরাথের সাথে অভিষেক হওয়া জয়াবিক্রমার মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন।
করুনাতেœ বলেন, ‘সাধারণ বিষয়গুলো ভালভাবে করেন জয়াবিক্রমা। ডেলিভারিগুলো সঠিক জায়গা রেখেছেন তিনি। এটি রঙ্গনা হেরাথ করতে দেখেছি আমরা। ব্যাটসম্যানকে খেলতে দিতেন এবং কিছু করার সুযোগ দিতেন সে। আপনি যখন এই পর্যায়ে খেলেন, আপনার লাইন এবং লেন্থে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। এটাই ছিল তার গোপন রহস্য। আমার মনে হয় রমেশও তাকে অন্য প্রান্ত থেকে প্রচুর সহায়তা করেছে, বাড়তি চাপ বাড়িয়েছিলো। এই বোলিং জুটি ভাল ছিল এবং তাদের ভালো বোঝাপড়া ছিল, কারণ একই ক্লাবের হয়ে খেলে থাকেন তারা।’
সিরিজের তিন ইনিংসে ৪২৮ রান করেছেন করুনারতেœ। প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও ও পরের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন তিনি। সিরিজে সাফল্যের রহস্যও জানিয়েছেন লংকান অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘কিছু ছোটখাটো পরিবর্তনও আনতে হয়েছিল। আমি আমার কৌশল পরিবর্তন করিনি, তবে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা পরিবর্তন করেছি। আমি মনে করি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে আমি কিছুটা আগ্রাসী ছিলাম। কিছু সিরিজে ‘আপনি আক্রমণাত্মক হতে পারেন, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আমি কিছু ভুল সিদ্বান্ত নিয়েছিলাম।’
করুনারতেœ বলেন, ‘দু’তিনটি ব্যর্থতার পর, আমি আমার ভুলগুলি নিয়ে কোচের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এবং আমাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমার কৌশল ভাল ছিলো। তাই আমি যা বলেছিলাম তা করেছি এবং প্রথম ১০-১৫ ওভারগুলো দেখেছি, যতটা সম্ভব বল ছেড়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বশেষ ইনিংসে আমার সাফল্য ছিল এবং সেটা এখানে প্রয়োগ করেছি। এমনকি প্রতিপক্ষ পরিবর্তন হলেও, আমি আমার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি এবং বড় স্কোর করতে সক্ষম হয়েছি।’
বাসস/এএমটি/১৯২০/স্বব