চট্টগ্রামে করোনায় ৭ জনের মৃত্যু

226

চট্টগ্রাম, ৩ মে, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১০৬ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল রোববার নগরীর আটটি ল্যাবে ৬৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০৬ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৭ এবং ছয় উপজেলার ১৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ১০, ফটিকছড়িতে ৫, এবং রাউজান, সীতাকু-, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫০ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪০ হাজার ২৯৯ ও গ্রামের ৯ হাজার ৯৮১ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত শহরের ৫ ও গ্রামের ২ রোগী মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫৩৫ জন এবং এ মাসের প্রথম দু’দিনে ১১ জন। মোট মৃতের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৯৯ ও গ্রামের ১৩৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৮ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৬২৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৫ হাজার ১৫০ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩১ হাজার ৪৯০ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৫ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৮২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭ জনের মধ্যে শহরের ২৪ ও গ্রামের ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৮টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ১১টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৭ জনের নমুনায় শহরের ১ জন ও গ্রামের ১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২টিসহ ১৮টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি চার ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ জনসহ ২০ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ জনের নমুনায় শহরের ৮ জন এবং মেডিকেল সেন্টারে ১২ নমুনার মধ্যে শহরের ১ ও গ্রামের ১ জনের নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ৩২, চবি’তে ২৭ দশমিক ৫৬, চমেকে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, আরটিআরএল-এর ৩৯ দশমিক ১৩, শেভরনে ১৩ দশমিক ৩৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৬৬ এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।