বাসস দেশ-১ : নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ, লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ইলিশ ধরা শুরু

172

বাসস দেশ-১
ইলিশ-ধরা-শুরু
নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ, লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ইলিশ ধরা শুরু
লক্ষ্মীপুর, ১ মে, ২০২১ (বাসস) : চলতি মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নদীতে মাছ ধরায় জারিকৃত টানা দুই মাসের (মার্চ ও এপ্রিল) নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয়েছে। আজ শনিবার ভোর রাত থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছে জেলেরা। তবে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী মে ও জুন টানা দুই মাস কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস কর্মকর্তা।
ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি এবং কমলনগরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার জেলেরা নৌকা আর জাল মেরামত করে নদীতে নামতে শুরু করেছেন।
জাতীয় মাছ ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার্থে গত মার্চ ও এপ্রিল জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা পর্যন্ত প্রায় একশ’ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এই সময়ে মাছ ধার, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ সময় জেলা সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নে নিবন্ধিত ২৮ হাজার ৩৪৪ জেলে পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। আগামী মে ও জুন মাসেও একই পরিমাণ চাল বরাদ্দ রয়েছে।
স্থানীয় আড়ৎদাররা জানান, একদিকে করোনা সংক্রমণ এবং অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা গত দুইমাস নদী মাছ ধরতে যেতে না পারায়, তাদেরকেও আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে। এখন নদীতে জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়লে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বাসসকে জানান, নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর জেলায় ২০ হাজার ৩৮০ টন ইলিশ উৎপাদন হয়। এবার উৎপাদনের পরিমাণ ২৫ হাজার টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও জাটকা নিধনের আশঙ্কা থাকায় চলতি মে ও জুন মাস কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, নদীতে জাটকা ধরা এবং উপকূলীয় মাছ ঘাট ও হাটবাজার গুলোতে জাটকা বেচাকেনা বন্ধে জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে নদীতে কারেন্টজাল ও ছোট মাছ ধরার জাল নামানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১০২৫/কেজিএ