বাসস দেশ-১১ : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা

93

বাসস দেশ-১১
মামুনুল হক-মামলা-ঝর্ণা
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা
নারায়ণগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা জান্নাত আরা ঝর্ণা।
আজ শুক্রবার ঝর্ণা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মেডিকেল টেষ্টের জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোনারগাওঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এলাকাবাসীর হাতে মামুনুল হক ও তিনি (ঝর্ণা) অবরুদ্ধ হওয়ার পর পরিচিতদের বাসায় জোরপূর্বক আটকে রাখা হয় তাকে। মামুনুল হক তাকে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারিরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। প্রথম স্বামী শহীদুলের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ডও ছিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক।
মামলায় ঝর্ণা আরো উল্লেখ করেন, তার দাম্পত্য জীবন বিষিয়ে তুলেছিলেন মামুনুল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুনুল আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল হক আমাকে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে যান।
মামলার এজাহারে ঝর্ণা উল্লেখ করেন ২০০৫ সালে মামুনুলের সঙ্গে তার পরিচয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় তাদের বাড়িতে মামুনুলের ছিল অবাধ যাতায়াত। ‘মামুনুল আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন এবং আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে তোলেন। সাংসারিক এই টানাপোড়েনে একপর্যায়ে মামুনুলের পরামর্শে আমাদের তালাক হয়।’
গত ৩ এপ্রিলও মামুনুল হক ঘোরাঘুরির কথা বলে তাকে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে নিয়ে যান উল্লেখ করে মামলার এজাহারে ঝর্ণা বলেন,সেখানে অবস্থানকালে কিছু মানুষ আমাদের আটক করে ফেলে। পরে মামুনুল হকের অনুসারীরা রিসোর্টে হামলা করে আমাদের নিয়ে যায়। রিসোর্ট কান্ডের পর পরিচিতজনের বাসায় জোরপূর্বক আটকে রাখেন মামুনুল। যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি বাবা-মাসহ কারও সঙ্গে। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর বাবার জিম্মায় দেয়।
উল্লেখ্য,হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ঝর্ণা সহ এলাকাবাসির হাতে ধরা পড়লে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সাথে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে মামুনুল হক বলেন, আসলে ওই ঝর্ণা ‘শহীদুল ভাইয়ের’ স্ত্রী। জনরোষ থেকে বাঁচতেই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
গত ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। দুই নারীর সাথে তিনি চুক্তি ভিত্তিক সম্পর্ক করেন বলে স্বীকার করেন। মামুনুল হক বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন। তার সাথে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তার ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকারও বেশি অর্থের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/১৪৩০/-আসাচৌ