চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

193

চট্টগ্রাম, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় এক নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১৮০ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৮০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩৩ জন ও বারো উপজেলার ৪৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৪, আনোয়ারায় ৭, রাউজানে ৫, বাঁশখালী ও ফটিকছড়িতে ৪ জন করে, বোয়ালখালী ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে, পটিয়া ও সীতাকু-ে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৯ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪০ হাজার ১৫ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ৮৯০ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪ রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৩ জন শহরের ও ১ জন গ্রামের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২০ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৩৮৫ জন ও গ্রামের ১৩৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৮৯ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৩৬৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৭৪ জন এবং বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩১ হাজার ২৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৮৫ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ৪ জনসহ চলতি মাসের ২৯ দিনে চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩১ জনে। জেলায় করোনাকালের সর্বোচ্চ ১১ রোগীর মৃত্যু হয় ২৫ এপ্রিল। তবে এদিন এ মাসের সর্বনি¤œ ১৭১ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ মাসে মাত্র তিনদিন জেলায় কোনো করোনা রোগী মারা যাননি। জেলার সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্তও শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। এদিন ৭ রোগীর মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জনসহ ২৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৯ ও গ্রামের ২৪ জনের দেহে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬১টি নমুনায় গ্রামের ৬টিসহ ৩২টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৪ ও গ্রামের ৭ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩০৬টি মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২টিসহ ২০টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮১টি নমুনায় শহরের ১৩টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ১০টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের ২৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৩টি ছাড়া অবশিষ্ট সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তবে নতুন যুক্ত মেডিকেল সেন্টারে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ, চবি’তে ২৫ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৯ দশমিক ৮৭, চমেকে ১৪ দশমিক ৭০, আরটিআরএলে ৩৭ দশমিক ৫০, শেভরনে ৬ দশমিক ৫৩, ইম্পেরিয়ালে ১৬ দশমিক ০৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯ দশমিক ৪১ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।