দিনাজপুরে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও গম ক্রয় কার্যক্রম শুরু

254

দিনাজপুর, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : জেলায় কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য বিভাগ ২৪ হাজার ১৫২ টন ধান ও ১ হাজার ৪৭৩ টন গম ক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করেছে। ৩টি উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারে এ্যাপস এর মাধ্যমে আবেদন নিয়ে ধান ক্রয় করা হবে।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম জানান, সারাদেশের মতো খাদ্যের জেলা দিনাজপুরে কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ও ২৮ টাকা কেজি দরে গম ক্রয় কার্যক্রম জেলার ১৩টি উপজেলায় গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। খাদ্য বিভাগের ঘোষনা অনুযায়ী এই জেলায় ২৪ হাজার ১৫২ টন ধান ও ১ হাজার ৪৭৩ টন গম কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করা হবে।
সুত্রটি জানায়, জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৩টি উপজেলা সদর, বিরল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকদের নিকট থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ্যাপসের মাধ্যমে আগামী ১০ মে পর্যন্ত ধান ক্রয়ে আবেদন গ্রহন করা হবে। আবেদনগুলো আগামী ১০ মে লটারির মাধ্যমে বাছাই করে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের কাছ থেকে ধান গ্রহণ করা হবে। অপর ১০ টি উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি আবেদন নিয়ে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের বাছাই করে তাদের কাছ থেকে ধান ও গম ক্রয় করা হবে। ধান ক্রয় কার্যক্রম ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এবং গম ক্রয় কার্যক্রম ৩০ মে পর্যন্ত চলমান থাকবে।
চলতি বছর ইরি বোরো মৌসুমে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা ও আতপ চাল ৩৯ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হবে। এখন পর্যন্ত চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়নি। তিনি জানান, চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাওয়া গেলে মিলারদের সাথে চাল ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদন করা হবে। জেলার ২৬টি এলএসডি এবং ১টি সিএসডি গুদামে ৯১ হাজার টন খাদ্য মজুদের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে ৬ হাজার ৯৬৯ টন চাল ও ২ হাজার ৫০৩ গম মজুদ রয়েছে।
তিনি জানান, জেলা শহরে খাদ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ১২টি পৌরসভার ওয়ার্ডে ১২ জন খাদ্য ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। সপ্তাহে ৬ দিন প্রত্যেক ডিলার ৫০০ কেজি চাল ও ৫০০ কেজি স্বাস্থ্য সম্মত আটা খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি কেজি চাল ২৮ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি কার্যক্রম চলছে। ফলে শহরের নি¤œআয়ের মানুষ নির্ধারিত মূল্যে চাল ও আটা ক্রয় করে স্বস্তি ফিরেছে।