আবদুল মতিন খসরু ছিলেন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন মানুষ

270

ঢাকা, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ছিলেন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন মানুষ। তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয় একজন রাজনীতিক।
সদ্যপ্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন খসরুকে নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চূয়াল স্মরণসভার বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আইকন আয়োজিত ও মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অংশগ্রহণ করেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র মহাপরিচালক কবি জাফর ওয়াজেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. সাদেকা হালিম।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল আন্দোলনে আবদুল মতিন খসরুর অবদানের কথা স্মরণ করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ ও সমাজের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে, তিনি আরও কয়েক যুগ বেঁচে থাকলে আমরা তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পেতাম।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন খসরু, মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর চেয়ে অনেক বড়। তার জীবন, তার কীর্তির চেয়ে অনেক মহান। ভবিষ্যত প্রজন্মকে তিনি আবদুল মতিন খসরু জীবনাদর্শ ধারণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আবদুল মতিন খসরুর জীবনীর ওপর একটি স্বরণিকা প্রকাশ করার অনুরোধ জানান ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, আবদুল মতিন খসরু ছিলেন একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও নির্মোহ রাজনীতিবিদ।
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, আবদুল মতিন খসরুর ছিল এক বর্নাঢ্য জীবন। অনেক বড় দিগন্তের মানুষ ছিলেন তিনি। ছাত্র রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি তার বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। রাজনীতিতে তিনি সজ্জন মানুষের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি নানামুখী জ্ঞানের অধিকারি ছিলেন।
তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল ছাড়াও নিকাহ রেজিস্টার কাজিদের সনদ ও নিবন্ধন প্রদান করার ক্ষেত্রে আবদুল মতিন খসরু চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, আবদুল মতিন খসরু ছিলেন একজন উদার গণতন্ত্রমনা ব্যক্তিত্ব। সব মত-পথকে নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন তিনি। মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন মতিন খসরু।
তিনি বলেন, মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। একেবারে গ্রাম থেকে এসে সুপ্রিম কোর্টের ডাকসাইটে আইনজীবীদেরকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করে তিনি যেভাবে তার অবস্থান পাকাপোক্ত করেছিলেন সেটা অবিশ্বাস্য। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি বার বার তার অবস্থান জানান দিয়েছেন।
দেশের বর্তমান তরুণ সমাজের দৃষ্টি আকর্ষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. সাদেকা হালিম বলেন, আবদুল মতিন খসরুর জীবন ছিল অত্যন্ত সুশৃৃঙ্খল। তার জীবনকে অনুস্মরণ করলে জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। তিনি আন্তর্জাতিক মানের একজন আইনজীবী ছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের অনেক মৌলিক পরিবর্তনের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সাদামাটা একজন মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল ও মেধাবী রাজনীতিবিদ।