অলিম্পিকের সব ভেন্যু দর্শকে পরিপূর্ণ করা কঠিন : আয়োজক প্রধান

272

টোকিও, ২৯ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : টোকিও অলিম্পিকে নির্ধারিত সব ভেন্যুতে পরিপূর্ণ দর্শক নিয়ে খেলা পরিচালনা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন গেমস আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাশিমোতো। প্রতিটি ভেন্যুতে কত সংখ্যক স্বাগতিক দর্শক উপস্থিত হতে পারবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে জুনে। ইতোমধ্যেই প্রথমবারের মত বিদেশী সমর্থকদের অলিম্পিক উপভোগের সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে।
টোকিওসহ এখনো জাপানের অনেক শহরেই করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় জরুরী অবস্থা বিরাজ করছে। গেমস শুরু হতে আর মাত্র তিন মাস বাকি। এই পরিস্থিতিতে আয়োজকরা দর্শকদের ব্যপারে যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে আরো কিছুটা সময় চাচ্ছেন।
চলতি মাসের শেষে এ ব্যপারে জাপানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। বুধবার এ বিষয়ে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির সাথে জরুরী সভার পর জানা গেছে এ ব্যপারে অন্তত জুন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসছে না।
টোকিও ২০২০’র প্রধান হাশিমোতো জানিয়েছেন অতীতের মত সব ভেন্যু এবারও দর্শকে পরিপূর্ণ থাকবে, এমনটা ভাবা উচিৎ হবেনা। তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক বিবেচনা করছি এবং পর্যায়ক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি। এই মুহূর্তে পরিপূর্ণ ভেন্যুর আশা করা অমূলক।
আয়োজকরা ইতোমধ্যেই ভাইরাসের নতুন আইন ঘোষনা করেছে। যাতে প্রতিটি ক্রীড়াবিদকে প্রতিদিনই করোনা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী এ্যাথলেট ও অফিসিয়ালদের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার ও রেস্টুরেন্টে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আয়োজকরা আশা করছেন এর ফলে ২০২০ গেমস কিছুটা হলেও নিরাপদে রাখার সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রথাম থমাস বাখ বলেছেন, ‘জাপানীজ জনগনের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা নিশ্চিত করবো। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। এটা শুধুমাত্র গেমসে অংশগ্রহনকারীদের জন্য, স্বাগতিক জাপানীজ নাগরিকদের জন্যও প্রযোজ্য।’
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জাপান বর্তমানে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সাথে লড়াই করছে। ব্যপক সংক্রমন ঠেকাতে গত ২৫ এপ্রিল থেকে টোকিওসহ আরো তিনটি প্রদেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয়েছে। সরকারের শীর্ষ মেডিকেল পরামর্শকরা বলছেন সংক্রমনের মাত্রা যদি গ্রীষ্মেও ব্যপক হারে বজায় থাকে তবে গেমসে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে।
গত বছর করোনার কারনে গেমস বাতিল হবার পর ঘরোয়া টিকিট বিক্রি এখনো নতুন করে শুরু হয়নি। ইতোমধ্যেই অলিম্পিকের জন্য ৪.৪৮ মিলিয়ন ও প্যারালিম্পিকের জন্য এক মিলিন টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বিদেশী সমর্থকদের ক্রয়কৃত টিকিটের মূল্য ফেরত দেয়া হয়েছে।