যুক্তরাষ্ট্রে আটক কেন্দ্রে থাকার পর শিশুর মৃত্যু : অভিযোগ দায়ের

212

মিয়ামি, ২৯ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : গুয়াতেমালার এক অভিবাসন প্রত্যাশী ‘অন্যায় ও নির্মম আচরণ’ করে তার মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য মার্কিন কৃর্তপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার ওই নারীর আইনজীবী একথা জানান।
অভিযোগকারীর মেয়ে আটক কেন্দ্রে ছয় সপ্তাহ আটক থাকার পর মারা যায়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
২০০১৮ সালের মার্চ মাসে মেক্সিকো থেকে অবৈধ উপায়ে রিও গ্রান্ডে নদী পার হয়ে মর্কিন ভূখন্ডে আসলে ইয়াজমিন জুয়ারেজ (২০) ও তার ১৯ মাস বয়সী মেয়ে মেরীকে আটক করে টেক্সাসের ডিলেইর একটি আটক কেন্দ্রে বন্দি রাখা হয়।
আর্নল্ড অ্যান্ড পর্টার ল’ ফার্মের এটর্নী আর. স্যান্টন জোন্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ছোট্ট শিশুটির জন্য যারা নিরাপত্তা, স্যানিটারি ব্যবস্থা ও যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারাই তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী।’
তিনি আরো বলেন, ‘ম্যারি জুয়ারেজ ডিলেই আটককেন্দ্রে একটি স্বাস্থ্যবান মেয়ে শিশু নিয়ে প্রবেশ করেন এবং ২০ দিন পর একটি অত্যন্ত দুর্বল ও অসুস্থ শিশুসহ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার শ্বাসপ্রশ্বাসে মারাত্মক সংক্রমণ দেয়া দিয়েছিল।
তার মুক্তির পর শিশুটিকে পৃথক দুটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০১৮ সালের ১০ মে সে মারা যায়।
আর্নল্ড অ্যান্ড পোর্টার জুয়ারেজের পক্ষে আরিজোনার এলোইয়ের কাছে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছে।
এটি কেন্দ্রীয় সরকার ও ওই বেসারকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যস্থতাকারী একটি সংস্থা।