বিশিষ্ট শিল্পপতি দ্বীন মোহাম্মদ আর নেই

293

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : ফিনিক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি দ্বীন মোহাম্মদ আর নেই।
আজ মঙ্গলবার রাত ১টায় রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দেশের এই স্বনামধন্য ব্যবসায়ী স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন।
তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
আজ বাদ যোহর লালবাগ শাহী মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বীন মোহাম্মদ ফিনিক্স গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সময়ের সাথে সাথে তিনি তার উদ্যোক্তা সক্ষমতা বিকাশ করেন এবং বৃহত্তম ফিনিক্স গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ফিনিক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ফিনিক্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড। দেশে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেন এই শিল্পপতি। তিনি অ্যাপোলো ইস্পাতের স্বত্তাধিকারি এবং আবাসন প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের অংশীদার।
খ্যাতিমান ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের ব্যবসা– বাণিজ্যে অবদান রেখে গেছেন। ১৯৩৮ সালের ৩ আগস্ট তার জন্ম। বাবা মরহুম হাজী নূর মোহাম্মদ।
১৯৬০ সালে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন। ঢাকার আদি ব্যবসায়ীদের অন্যতম হিসেবে তিনি পরিচিত। দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনীতির বিকাশে দ্বীন মোহাম্মদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দ্বীন মোহাম্মদ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি লালবাগ স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক সভাপতি ছিলেন। লালবাগ শাহী মসজিদ ও জামিয়া কুরআনিয়া আরব মাদ্রাসা পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন। ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সম্মানিত আজীবন সদস্য।
দেশে –বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও পদকে তিনি ভূষিত হন। মরহুম মাওলানা আকরাম খাঁ গোল্ড মেডেল ও জগদীশ চন্দ্র স্বর্ণপদক দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। স্পেনের মাদ্রিদ ভিত্তিক একটি ব্যবসায়ীক সংস্থা তাঁকে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ ডাইরেকশনসে (বিআইডি) ভূষিত করে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ফিনিক্স ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডকে আন্তর্জাতিক পুরস্কারে (আইএসএকিউ) ভূষিত করা হয়।
দেশের ব্যবসা– বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পায়নে মরহুমের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।