চট্টগ্রামে ২৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত

205

চট্টগ্রাম, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : একটানা ১২ দিন পর চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন কেটেছে। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৪৫ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর নয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৩১ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৭৯ জন ও নয় উপজেলার ৬৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়া ও হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ১৭ জন করে, ফটিকছড়িতে ১৩ জন, রাউজানে ৫ জন, বোয়ালখালী ও সীতাকু-ে ৪ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন, সাতকানিয়ায় ২ জন এবং চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৯ হাজার ৩৪০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৯ হাজার ৫৭৯ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ৭৬১ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী মারা যাননি। মৃতের সংখ্যা ৫০৪ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৩৭৫ জন ও গ্রামের ১২৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৮৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৮৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৭ জন এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩১ হাজার ৮০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০ জন, ছাড়পত্র নেন ২৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪ এপ্রিলের পর টানা ১২ দিনে ৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। গতকালসহ এ মাসে তিনদিন কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। অপর দুই দিন হলো ২ ও ১৪ এপ্রিল। করোনাকালের সর্বোচ্চ ১১ রোগীর মৃত্যু হয় ২৪ এপ্রিল। তবে এদিন এ মাসের সর্বনি¤œ ১৭১ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ১১ এপ্রিল জেলার সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্তও শনাক্ত হয় এ মাসে। এদিন ৭ রোগীর মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের ৭ জনসহ ৬৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৪ ও গ্রামের ৩২ জন পজিটিভ বলে চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪০টি নমুনার মধ্যে শহরের ২৫ ও গ্রামের ২২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪২টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ১৭টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর চার বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২টিসহ ২৭টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৯টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ১০টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০টি নমুনায় শহরের ৫টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ২১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ২১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, চবি’তে ২২ দশমিক ৯৫, সিভাসু’তে ১৯ দশমিক ৫৮, চমেকে ২৯ দশমিক ০৩, আরটিআরএলে ৪০ দশমিক ৪৭, শেভরনে ১০ দশমিক ৭১, ইম্পেরিয়ালে ১১ দশমিক ২৩, মেডিকেল সেন্টারে ২৮ দশমিক ৫৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।