অর্থবহ অবদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেই মেধাসম্পদ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

235

ঢাকা,২৬ এপ্রিল, ২০২১(বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, অর্থবহ অবদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেই মেধাসম্পদ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,একটি স্বনির্ভর উন্নত ও টেকসই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রেই মেধার বিকাশ নিশ্চিতকরণ ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় উদ্ভাবন ও মেধাসম্পদ নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে অর্থবহ অবদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ নীতিমালা প্রণয়ন করা করেছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে ‘বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি এসোসিয়েশান বাংলাদেশ ( আইপিএবি) এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় উদ্ভাবন ও মেধাসম্পদ নীতিমালা ২০১৮’ প্রণয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, নীতিমালা, কৌশল, আইন ও বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহ বিবেচনায় আনা হয়েছে।নীতিমালাটিতে মেধাসম্পদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা উৎসাহিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মেধাসম্পদ নীতিমালা ২০১৮ বাস্তবায়নের জন্য যেসব সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- মেধাসম্পদ অধিকার ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণের জন্য বর্তমানে বিদ্যমান মেধাসম্পদ সম্পর্কিত অফিসগুলোতে (পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস) স্বয়ংক্রিয় সার্ভিস পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে অফিসগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মান উন্নয়ন করা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা, উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রের মাধ্যমে মেধাসম্পদ সম্পর্কিত শিক্ষার প্রসার ঘটানো, মেধাসম্পদ জনিত আউটরিচ প্রোগ্রাম চালু করা ইত্যাদি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কপিরাইট ও মেধাসম্পদ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে জাতীয় প্রয়োজন ও আধুনিক সতত পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কপিরাইট আইন ২০২১ এর চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়নপূর্বক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেধাসম্পদের স্বীকৃতি, সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সবকিছুই সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
কে এম খালিদ বলেন, কাজের স্বীকৃতি, নিশ্চয়তা ও পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এ বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবস পালিত হচ্ছে। এ আয়োজন আমাদের সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, কর্মের পরিধি সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণপূর্বক কর্মক্ষেত্রকে আরো প্রসারিত করবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তাছাড়া আয়োজকদের এ সময়োপযোগী ওয়েবিনার আয়োজনের জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শামসুল আলম মল্লিক এফসিএ’র সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আলী আজম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। সম্মানীয় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) শরীফা খান।