বাসস দেশ-৩৯ : হাটহাজারীতে বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুই ও মীর হেলালের বিরুদ্ধে এক মামলা

107

বাসস দেশ-৩৯
হাটহাজারীতে-হেফাজত তান্ডবে-তিন মামলা
হাটহাজারীতে বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুই ও মীর হেলালের বিরুদ্ধে এক মামলা
চট্টগ্রাম, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির ও বর্তমান আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। অপর একটি মামলায় আসামির তালিকায় যুক্ত হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর হেলাল। এর বাইরেও তিন মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে।
গত ২৬ ও ২৭ মার্চ হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) হাটহাজারী থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। যদিও সোমবার (২৬ এপ্রিল) তা জানাজানি হয়। তিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) কনস্টেবল মো. সোলায়মানের দায়ের করা মামলায় হেফাজত নেতা বাবুনগরী, মীর ইদ্রিস, নাছির উদ্দিন, জাকারিয়া নোমান, আহসান উল্লাহসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৬ মার্চ দায়িত্ব পালনকালে হাটহাজারী জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে থেকে সোলায়মানকে ধরে নিয়ে মাদ্রাসায় আটকে রাখা হয়। তাকে সেখানে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক আমির হোসেনের দায়ের করা আরেক মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা জাকারিয়া নোমানসহ উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আসামি ২,৫০০ থেকে ৩ হাজার জন।
এছাড়া হাটহাজারী থানার এসআই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তৃতীয় মামলাটি করেছেন। এ মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান শিকদারসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আসামি ২৫০-৩০০ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে হাটহাজারী সদর, ইছাপুর বাজারে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও রাস্তায় দেয়াল দিয়ে আসামিরা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আসামিরা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ, থানা ও ভূমি অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের ওপর হামলা করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ ও ২৭ মার্চ হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা দু’দিন ধরে নারকীয় তা-ব চালায়। তারা ওই সময় হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ৫৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এসিল্যান্ড অফিসের সব নথি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তছনছ করা হয় সব আসবাবপত্র। সরকারি ডাক বাংলোতে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলও আগুনে পুড়ানো হয়। এছাড়া সদর ভূমি অফিস তছনছ করার পাশাপাশি জমির খতিয়ান সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই অফিসের অধীন পৌরসভা, মেখল ও ফতেপুর ইউনিয়নের জমির খতিয়ান ও খাজনার সব রেকর্ড ছিল। ডাকবাংলোর ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে জেলা পরিষদ। তবে এসিল্যান্ড অফিস ও সদর ভূমি অফিসে হেফাজতের নেতাকর্মীদের তা-বে শুধুমাত্র ভৌত অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
বাসস/জিই/কেএস/১৯১৫/-কেএমকে