এবার ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ

323

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মুসুল্লীদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হতে পারবে, তবে ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং মুসুল্লীগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ডস্যানিটাইজার রাখতে হবে, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঈদের নামাজের জামায়াতে আসা মুসুল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং অসুস্থ্যদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
করোনাভাইরাসের মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে ইমাম ও খতিবদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। এই নির্দেশনাগুলো প্রতিপালিত না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙখলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনাবরী বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।