ভোলায় ভ্রাম্যমাণ বাজারে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে

371

ভোলা, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : জেলায় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বাজারে ন্যায্য মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গত ১০ এপ্রিল থেকে এ বাজার চালু হওয়ার পর থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৫২ টাকার দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণীজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে প্রতিদিন জেলার ৭ উপজেলায় ৭টি গাড়ির মাধ্যমে ভোর ৬ টা থেকে বেলা ১১ টা ও বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৫ দিনে এখানে ৪৮ হাজার ৩৭৭ লিটার দুধ বিক্রি হয়েছে ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকায়। ডিম ৮০ হাজার ৮০০টি ডিম বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪’শ টাকার ও মাংস (গরু-ছাগল-সোনালী মুরগি) ৬ হাজার ৩৪ কেজি ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৬০২ টাকায়। বাজার দরের তুলনায় এখানে স্বল্প মূল্যে দুধ লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় ও মুরগির ডিম প্যাকেজ ১৫টি ১০০ টাকা, গরু কেজি ৫০০ টাকা, খাসি কেজি ৮০০ টাকা ও সোনালী মুরগি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: ইন্দ্রজিৎ মন্ডল জানান, করোনা কালীন সময় ও মাহে রমজানে দুধ-ডিম, মাংস ন্যায্য মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এ কার্যক্রম চালু হয়েছে। সরাসরি খামারীদের কাছ থেকে এসব পণ্য আমরা ক্রয় করে বিক্রি করছি। ফলে করোনা মহামারীতে খামারীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়ছেনা এবং সঠিক মূল্য পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলায় গত ১০ এপ্রিল সদর ও চরফ্যাসন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বাজাওে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু হয়। পরবর্তীতে ১১ তারিখ বোরহানউদ্দিন, ১২ তারিখ দৌলতখান, ১৬ তারিখ তজুমদ্দিন ও ১৮ তারিখ মনপুরায় কার্যক্রম শুরু হয়। দুধ, ডিম, মাংস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ভ্রাম্যমাণ বাজারে এ জাতীয় লিফলেটও বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা মহামারী ও পবিত্র রমজানে এমন ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু থাকায় সন্তোশ প্রকাশ করেছে ভোক্তারা। তারা বলছেন, একদিকে যেমন তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকছে। সদর উপজেলার যুগীরখোল এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক পারভেজ ও আক্তার হোসেন বলেন, এটা সরকারের একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। আমারা এমন কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই।