বাসস দেশ-৫৪ : পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মামুনুল হক জড়িত : পুলিশ

226

বাসস দেশ-৫৪
মামুনুল হক রিমান্ড-ডিসি হারুন ব্রিফিং
পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মামুনুল হক জড়িত : পুলিশ
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : পাকিস্তানি একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ।
আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব এ তথ্য জানান। মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছে মামুনুল হক। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এ তথ্য পেয়েছে বলে জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, সরকার উৎখাতসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন মামুনুল। এছাড়া কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেওয়ার পাঁয়তারা করছিলেন মামুনুল।
তিনি বলেন, মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লা মামুনুল হকের আপন ভগ্নিপতি। তিনি প্রায় ১৪/১৫ বছর পাকিস্তানে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে এসে জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর মামুনুল হক তার বোনকে বিয়ে দেন। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেণেড হামলার অন্যতম আসামি তাজের সঙ্গে এই নেয়ামতুল্লাহর ঘনিষ্ঠতা ছিল। নেয়ামতুল্লাও ওই হামলার ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছিল। কিন্তু মামুনুল হকের বাবা শায়খুল হাদিস আজিজুল হক বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল হওয়ায় তার জামাতাকে প্রভাব খাটিয়ে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। ২০০৫ সালে নেয়াতমুল্লা ও মামুনুল হক একসঙ্গে ৪৫ দিনের বেশি পাকিস্তানে ছিলেন। সেখান থেকে একটি ধর্মীয় সংগঠনকে মডেল হিসেবে এনে বাংলাদেশের বিভিন্ন মতবাদের মানুষকে একত্রিত করেন। বিদেশ থেকে আসা টাকা সেই সংগঠনের মাধ্যমে সরকার উৎখাতে ব্যবহার করেন।
ডিসি হারুন অর রশিদ জানান, মামুনুল হকের আপন ভায়রা কামরুল ইসলাম আনসারী জামায়াতের বড় নেতা। তার বাড়ি ফরিদপুরের টেকেরহাট। তিনি জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের একজন। তার মাধ্যমেই জামায়াতের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন মামুনুল। অর্থাৎ মামুনুল হকের সঙ্গে জামায়াতের গোপন আঁতাত ও গ্রেণেড হামলার আসামিদের যোগাযোগ ছিল।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, রিমান্ডের ৭ দিনই আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। দুবাই, কাতার ও পাকিস্তান থেকে অনেক টাকা এনেছেন মামুনুল হক। ভারতের বাবরি মসজিদের নামে তিনি টাকা এনেছেন। ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে এসব টাকা আনা হয়েছে। এই টাকা দিয়ে দেশের বিভিন্ন মসজিদে ও কওমি মাদ্রাসায় কিছু লোক তিনি ম্যানেজ করেছেন। যারা তাকে বিভিন্ন মাহফিলে ডাকেন বলেও জানান হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মামুনুল হকের প্রথম শ্বশুর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মেজর (অব.) ডালিম আপন ভায়রা। আমরা এই বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ এপ্রিল তাকে একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বাসস/এএসজি/এমএমবি/২৩০০/স্বব