আর্মেনিয়ার গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে পারেন বাইডেন

676

ওয়াশিংটন, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস ডেস্ক) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-যুগের আর্মেনিয়ান গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তুরস্কের নেতার সঙ্গে কথা বলার পর তিনি এ ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
শনিবার অটোম্যান সা¤্রাজ্যের গণহত্যার ১০৬তম বার্ষিকী। গণহত্যার শিকার কয়েক হাজার আর্মেনীয়দের বংশধররা একে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য বিশ্বকে কঠোর চাপ দিয়ে আসছে। তবে তুরস্ক বিষয়টির জোরালোভাবে বিরোধিতা কওে আসছে।
জানুয়ারিতে মানবাধিকারের প্রতি বিশেষ মনোনিবেশের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। প্রত্যাশিত ঘোষণার প্রাক্কালে শুক্রবার অপর পক্ষ রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সাথে তিনি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলাপ করেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, টেলিফোনে বাইডেন ‘সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের মাধ্যমে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও মতবিরোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার এরদোগান উপদেষ্টাগণকে ‘তথাকথিত আর্মেনিয়ান গণহত্যার’ মিথ্যাচারের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে সত্যেও পক্ষ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে দুই নেতা সম্পর্কের অবনতি এড়াতে চান বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। হোয়াইট হাউস বলেছে যে জুনে ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকালে বাইডেন ও এরদোগান বৈঠক করবেন। এদিকে বাইডেনের কংগ্রেসীয় মিত্ররা গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা জনসমক্ষে প্রকাশ করলেও বৃহস্পতিবার এরদোগান বাইডেনের আহ্বানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এই আহ্বানের বিষয়ে তুরস্কের বিবৃতিতে একইভাবে ইতিবাচককার ওপর জোর দিয়ে বলেছে, এরদোগান ও বাইডেন ‘একসাথে কাজ করার গুরুত্বের বিষয়ে’ একমত হয়েছেন।
আর্মেনিয়ান গণহত্যার বিষয়ে কোনো বিবৃতি আসছে কিনা জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র জলিনা পোর্টার শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল একটি ঘোষণা আশা করছি।’
বাইডেন, সিনেটর থাকাকালে আর্মেনিয়ান-আমেরিকান এবং গ্রীক-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, তিনি তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় আর্মেনীয় গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদপার্থী হিসাবে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘আমরা যদি পুরোপুরি স্বীকৃতি না দিই. স্মরণ না করি এবং আমাদের সন্তানদের গণহত্যা সম্পর্কে শিক্ষা না দিউ তাহলে ‘আর কখনোই’ শব্দটি এর অর্থ হারাবে না।’
তবে তুরস্ক জোর দিয়েছে যে তৎকালীন অটোমান সা¤্রাজ্যে যে আর্মেনীয়দের জাতিগত হত্যা ও বহিষ্কার করা হয়েছিল তা গণহত্যা নয়, বরং তা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক সংঘাতের ফল।