আব্দুল মতিন খসরুর নীতি ও আদর্শ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়

476

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু স্মরণে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, মতিন খসরু যে নীতি ও আদর্শ নিয়ে ভোগ নয়, ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন, তা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এই নীতি ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশকে উন্নতি-সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
তারা বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী এবং উদার এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত সর্বগুণের অধিকারী একজন নেতা। তার হঠাৎ করে চলে যাওয়া দেশ এবং জাতির জন্য অনেক বড় ক্ষতি।
আজ ‘বাংলাদেশ আইকন’ আয়োজিত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন , উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু সালেক মোহাম্মদ সেলিম রেজা সৌরভ এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন বক্তৃতা করেন।
আব্দুল মতিন খসরুর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে তাঁর দেখানো পথ ধরে আব্দুল মতিন খসরু সারাজীবন রাজনীতি করে গেছেন। তার এই আদর্শ থেকে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে।
আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, আব্দুল মতিন খসরু অতি অল্প সময়ে আইনাঙ্গনে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার ন¤্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষনতা, দেশপ্রেম দলের প্রতি আনুগত্য ও আস্থা তাকে সম্মানের আসনে স্থান করে দিয়েছে।
সভায় আলোচকরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ মহান জাতীয় সংসদে বাতিলে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সকল ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে উচ্চ আদালতে ইন্ডেমনিটি বাতিল চ্যালেঞ্জ করে করা রিট মোকাবেলা করেছিলেন।
এলাকার মানুষের ভোটের মর্যাদা দিয়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা তথা কুমিল্লা ও দেশের মানুষকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, কুলাঙ্গার মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে যে কলঙ্ক জাতির ললাটে লেপে দিয়েছিল এবং কুমিল্লার মানুষকে লজ্জিত করেছিল, সেই কলঙ্ক কালিমা মুছে দেয়ার ক্ষেত্রে কুমিল্লারই সন্তান আব্দুল মতিন খসরু ভূমিকা রেখেছেন। তার সাহসী ভূমিকার জন্য আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার দেখতে পেয়েছি। এটা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এছাড়া, দলের দুঃসময়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা প্রদান করে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবার সাহস ও উৎসাহ যোগাতেন।