বাসস দেশ-৩৯ : দুর্যোগকালে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং শ্রম আইনের বিধি-বিধান সংশোধনের দাবি

148

বাসস দেশ-৩৯
রানা- প্লাজা- স্মরণ -মতবিনিময়
দুর্যোগকালে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং শ্রম আইনের বিধি-বিধান সংশোধনের দাবি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : রানা প্লাজা ধ্বস থেকে শিক্ষা নিয়ে দূর্যোগকালীন সময়ের কথা মাথায় রেখে শ্রম আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
আজ রানা প্লাজা ধ্বসের আট বছর স্মরণে “দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকদের সুরক্ষা : শ্রম আইন ও অন্যান্য বিধি-বিধান” শীর্ষক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-ব্লাস্ট, সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি-এসআরএস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম-এসএনএফ এর যৌথ উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিল্স ভাইস চেয়ারম্যান শিরীন আখতার এমপি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ব্লাস্টের উপ-পরিচালক (আইন) মোঃ বরকত আলী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপমহাপরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমান ভূইয়া, লেবার কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম নাসিম, শ্রম আদালতের আইনজীবী আমিনা দেওয়ান শিল্পি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মোঃ মাছুম বিল্লাহ, বিল্স পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ এবং নাজমা ইসয়াসমীন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম বলেন, করোনকালীন দুর্যোগ মোকবেলায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকরা বিপদে পড়লে কিভাবে তাদের সহযোগিতা করতে হয় সেটা সকলকে ভাবতে হবে। হাইকোর্টে মামলা পরিচালনায় একটি টিম তৈরি করে রানা প্লাজার মামলাগুলো পরিচালনা করলে মামলাগুলো অগ্রগতি হতো এবং শ্রমিকরা একটা কিছু পেতেন। আগামী দিনে শ্রমিকরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সে বিষয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
শিরীন আখতারএমপি বলেন, ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে শ্রম আইনের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এর জন্য সকলকে তথ্য আদান প্রদানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ঠিকমত সঠিক মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে কিনা তার মনিটরিং করতে হবে। একটি মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মোঃ মাছুম বিল্লাহ বলেন, করোনাকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের আলোকে সরকার শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তৈরি পোশাক, চামড়া, পাদুকা শিল্পের দুঃস্থ্য শ্রমিকদের জন্য নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এটিকে আরো সার্বজনীন করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাসস/সবি/এমএআর/২০৪৪/কেকে