বাসস দেশ-৯ : চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

92

বাসস দেশ-৯
চট্টগ্রাম-কোভিড-মৃত্যু
চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো ২৭৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৭৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০৯ জন ও তেরো উপজেলার ৭০ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৮ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৯ হাজার ১০০ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ৬১৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় সর্বোচ্চ ১২ জন, মিরসরাইয়ে ৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৮ জন, হাটহাজারীতে ৭ জন, সীতাকু-, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ৬ জন করে, বোয়ালখালীতে ৫ জন, রাউজান ও ফটিকছড়িতে ৩ জন করে, লোহাগাড়া ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত ৪ রোগীর মৃত্যু হয়। এদের ৩ জন শহরের ও ১ জন গ্রামের। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৪৮৬ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৩৬২ জন ও গ্রামের ১২৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১০৫ জন। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৯৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৪ হাজার ৯৩৪ জন ও বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ৮৬০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪২২ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গতকালের ৪ জনসহ চলতি মাসের ২৩ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৭ জনে। করোনাকালের সর্বোচ্চ ৯ রোগীর মৃত্যু হয় চলতি এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে। তবে এদিন এ মাসের সর্বনি¤œ ২২৮ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। জেলার সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্তও শনাক্ত হয় এ মাসে। এদিন ৭ রোগীর মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। এখানে ৪৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৬ জনসহ ৩৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৪৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ১৯ জনসহ ৬৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩২ ও গ্রামের ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫২টি নমুনায় শহরের ২০টি ও গ্রামের ১৬টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৬টিসহ ৩০টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০১টি নমুনার মধ্যে শহরের ২৯টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১টি নমুনায় শহরের ১৫টি এবং নতুন যুক্ত জিইসি মোড়স্থ মেডিকেল সেন্টারে ২৩ নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ১৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৫টির ফলাফল পজিটিভ আসে।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ১৪, চবি’তে ২১ দশমিক ৬৮, সিভাসু’তে ২৩ দশমিক ৬৮, শেভরনে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ২৮ দশমিক ৭১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৬ দশমিক ৫৮, মেডিকেল সেন্টারে ৩৪ দশমিক ৭৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১২২৫/-আসাচৌ