নগরীর বাজারগুলো বহুতল কিচেন মার্কেট হবে : চসিক মেয়র

214

চট্টগ্রাম, ২২ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর প্রধান কাঁচাবাজারগুলোকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পরিবেশ ও ব্যবসাবান্ধব বহুতলবিশিষ্ট কিচেন মার্কেটে পরিণত করা হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপ ফান্ডের (বিএমডিএফ)-এর অর্থায়নে ও চসিকের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ৪টি স্থানে কিচেন মার্কেট প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সমাপ্তির পথে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার ‘বিএমডিএফ’র অর্থায়নে ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের ফইল্লাতলী বাজারে নির্মিতব্য ১১ তলাবিশিষ্ট কিচেন মার্কেট পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এই কিচেন মার্কেটের ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে আর্ন্তজাতিক নগরীতে পরিণত করতে কাঁচাবাজারগুলোকে আধুনিকায়ন ও ক্রেতা-বিক্রেতাবান্ধব করা আবশ্যক। বর্তমানে নগরীর কাঁচাবাজারগুলোর যে হাল তা পরিসরগতভাবে অপ্রতুল এবং পরিবেশগতভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাবান্ধব নয়। এ কারণে সাধারণ ক্রেতারা কাঁচাবাজারমুখী নন। ফলে যেখানে-সেখানে অনিয়ন্ত্রিত কাঁচাবাজার গড়ে উঠেছে। এর ফলে যানজটসহ জনদুর্ভোগ হচ্ছে। কিচেন মার্কেটগুলো হয়ে গেলে এমন সমস্যা থাকবে না। কাঁচাবাজার থাকাকালে যারা ব্যবসা করেন কিচেন মার্কেটে তারা অবশ্যই স্থান বরাদ্দ পাবেন। কিচেন মার্কেট হয়ে গেলে এখানে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখার বিষয়টি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের জন্য সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, নগরীতে কাঁচাবাজারগুলোর কারণে যত্রতত্র বর্জ্যরে স্তূপ হয় এবং পরিচ্ছন্নতা বিঘিœত হয়। কিচেন মার্কেট হয়ে গেলে এ সমস্যা আর থাকবে না। তিনি জানান, ফইল্লাতলী ছাড়াও দেওয়ানহাট পোর্ট সিটি কমপ্লেক্স, বক্সিরহাট ও বেপারীপাড়ায় বহুতল কিচেন মার্কেট শীঘ্রই চালু হবে। অন্যান্য প্রধান কাঁচাবাজারগুলোও পর্যায়ক্রমে কিচেন মার্কেটে পরিণত হবে।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (যুগ্ম সচিব), প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দীন, নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মো. ইসমাইল, মো. জহুরুল আলম জসিম, মো. জাবেদ, মো. ইলিয়াছ, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী গতকাল রাতে নগরীর ৩০টি সড়কের ১২ টিতে আলোকায়নে অধিকতর কার্যকর ও সাশ্রয়ী এলইডি বাতি স্থাপন কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, ৩০টি সড়কের নির্ধারিত ৭৫ কিলোমিটার অংশ জুড়ে এলইডি বাতি স্থাপনের ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মোট সড়কের অন্যান্য অংশেও এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, নগরীর সড়ক আলোকায়ন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পর্যাপ্ত আলোকায়নের অভাব বা রাতে সড়ক অন্ধকারে ডুবে থাকলে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ে এবং অপরাধ প্রবণতা ও দুঘর্টনাও বাড়ে। তাই এই ক্ষেত্রে কোন শিথিলতার অবকাশ নেই। তিনি আরো বলেন, আমি আলোকিত নগরী চাই, এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।