বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : প্রধানমন্ত্রী আজ জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেবেন

142

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রীর-জলবায়ু-সামিট
প্রধানমন্ত্রী আজ জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেবেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মতে, অধিবেশনে সিওপি২৬-এর সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর জলবায়ুু উচ্চাকাক্সক্ষা আরো জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা এবং জলবায়ুু উচ্চাকাক্সক্ষা জোরদারে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণার সুযোগ প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পাররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর সহায়তা চাইবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ইস্যুর ওপর জোর দেবেন। কেননা, সকল দেশের তাদের এনডিসি পূরণে কঠোর পরিশ্রম অবশ্যক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল গঠন, একটি সার্বিক জলবায়ু কর্মসূচি গ্রহণ, আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও বিশাল বৃক্ষরোপণসহ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রয়াাসে নিজস্ব উদ্যোগসমূহ তুলে ধরবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোজনের আওতায় বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করি। তবে, আমরা জোর দিয়ে বলব যে কেবলমাত্র (জলবায়ু) অভিযোজনই যথেষ্ট নয়, (জলবায়ু) প্রশমনও অনুসরণ করা উচিত।’
তিনি বলেন সিভিএসের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তাদের ক্ষয়-ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও শিল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থ প্রদানের অনুরোধ করবে।
সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশন জলবায়ু সমস্যা সমাধানে বিনিয়োগ, অভিযোজন ও সহিষ্ণুতা, সর্ব স্তরে জলবায়ু পদক্ষেপ, জলবায়ু সুরক্ষা এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের মতো বিভিন্ন ইস্যুতেও আলোচনা করা হবে।
বিশ্ব জলবায়ু মোকাবেলা আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরকালে জন কেরি শীর্ষ সম্মেলনের এজেন্ডা নির্ধারণে ঢাকার পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু সম্পর্কিত শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন আমেরিকা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্বীকৃতি দেবে।
কেরির এই সফরের পর মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতি বলা হয়, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিশ দেশের অর্থমন্ত্রীর গ্রুপের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং জলবায়ুর ঝুঁকির সাথে অভিযোজন এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে সহিষ্ণুতা তৈরির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই শীর্ষ সম্মেলনটি এই বছরের নভেম্বরে গ্লাাসগোতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (সিওপি২৬)-এর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসার পদক্ষেপ নেন।
বাসস/ টিএ/অনু-এইচএন/১৯৩৮/আরজি