ভোলায় ১২ হাজার প্রান্তিক কৃষক বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছে

209

ভোলা, ২২ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : জেলায় চলতি মৌসুমে আউশ ধান আবাদে ১২ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। খরিপ-১/২০২১-২০২২ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেকের মাঝে আউশ ধানের ৫ কেজি উন্নত বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার তুলে দেওয়া হয়। পুরো প্যাকেজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। এক বিঘা জমির অনুকূলে এসব প্রণোদনা পেয়েছে প্রত্যেক কৃষক। সেমতে মোট ১২ হাজার বিঘা জমির জন্য এবারের সহায়তা দেয়া হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর এ জেলায় ৭ হাজার ৫’শ জন কৃষককে আউশ ধানের প্রণোদনা দেয়া হয়েছিলো। এবছর প্রণোদনাপ্রাপ্ত কৃষক সাড়ে ৪ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় মোট প্রণোদনার মধ্যে সদর উপজেলায় পেয়েছে ২২’শ কৃষক, দৌলতখানে ১৭’শ, বোরহানউদ্দিনে ১৭’শ, তজুমদ্দিনে ৬’শ, লালমোহনে ১৮’শ, চরফ্যাসনে ৩৫’শ ও মনপুরায় ৫’শ কৃষক রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো: এনায়েত উল্লাহ বাসস’কে বলেন, মূলত আউশ ধান আবাদে কৃষদের উৎসাহিত করার জন্যই সরকার বীজ ও সার সহায়তা দিয়ে আসছে। আউশের জন্য সেচের প্রয়োজন হয়না। এ জেলায় প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে আউশ আবাদ। চলতি মৌসুমে ৯৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর গত বছর আবাদ হয়েছিলো ৯৭ হাজার হেক্টর জমি।
তিনি আরো বলেন, এবছর গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আউশ আবাদ হবে বলে ধরা হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা সরকারিভাবে বীজ-সার পাওয়াতে তাদের খরচ কমে গিয়ে লাভ বেশি হবে। তাই তাদের আগ্রাহ বেশি আউশ আবাদে। আমরা আউশের ৪৮ জাতের যেই বীজ দিয়েছি, সেটা কৃষকরা পরের বছরের জন্য চাইলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রিয়াজউদ্দিন বাসস’কে জানান, সদর উপজেলায় ২২’শ কৃষক বীজ ও সার পেয়ে দারুণ খুশি। এবার সদরে সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আউশ ধান সম্পূর্ণই প্রকৃতি নির্ভর ফসল। বর্তমানে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে কৃষকরা। এক থেকে দুই দিন বৃষ্টি হলেই আউশের বীজ তলা তৈরি ও বীজ রোপণ’র কাজ শুরু হবে।
উপজেলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আবুল কাশেম ও আব্দুল হাই গাজী সরকারিভাবে বীজ ও সার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে তাদের জমি প্রস্তুতসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্ষা এলেই বীজ রোপণ করবেন।