গোটা বিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে আছে : আমু

211

ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গৃহিত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে বাঙালি জাতির মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। গোটা বিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা অনুযায়ী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদাশালী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিএসইসি ভবন চত্ত্বরে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন আজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আনিস-উল-হক ভূঁইয়া এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এতে বিএসইসি’র পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগ, কল-কারখানা চালু এবং অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি করতে তিনি যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড কোনো ব্যক্তি বা পারিবারকেন্দ্রিক হত্যাকান্ড ছিল না। এটি ছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রতিহিংসামূলক প্রতিবিপ্লব। এ হত্যাকান্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে লূস কনফেডারেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পরবর্তী আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় চার নেতা হত্যা, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচাররোধ, সংবিধান থেকে জাতীয় চার মূলনীতি ছেঁটে ফেলার মত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারাবাহিক কর্মকান্ড এর প্রমাণ করে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরের প্রেতাত্মারা বার বার দানবীয় শক্তিতে আবির্ভূত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকার পাশাপাশি অর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। বিশ^ব্যাংকের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছেন। আন্দোলন ও গণতন্ত্রের নামে ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমা মেরে যারা একাত্তরের মত গণহত্যা চালিয়েছিল, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের চলমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শ্রমিক কর্মচারি ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য স্বাধীনতার পর শিল্পকারখানা জাতীয়করণ করেছিলেন। তাঁর আদর্শকে সত্যিকার অর্থে হৃদয়ে ধারণ করে থাকলে এসব শিল্প কারখানা লাভজনক করতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানাগুলোকে লাভজনক করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসার প্রতিদান দিতে সবাইকে পরামর্শ দেন।