বাসস দেশ-৩১ : করোনা মোকাবেলায় চসিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে : মেয়র

119

বাসস দেশ-৩১
চট্টগ্রাম-মেয়র লকডাউন
করোনা মোকাবেলায় চসিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে : মেয়র
চট্টগ্রাম, ২০ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে জনদুর্ভোগ লাঘব ও সেবামূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় লকডাউন প্রলম্বিত হওয়ায় নগরীতে করোনা মোকাবেলায় সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও দায়িত্ব রয়েছে।
তাই সংক্রমণের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে হলে নিজ নিজ অবস্থান ও প্লাটফরম থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করতে হবে।
তিনি আজ মঙ্গলবার নগরীর ১২ নং সরাইপাড়ার শান্তা পুকুর পাড়, পাহাড়তলী বাজার, প্রাণহরি দাশ রোড, সাগরিকা মোড় হতে নয়াবাজার এলাকায় পরিচ্ছন্ন কাজ ও মশক নিধন কাজের তদারকি করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, লকডাউনে জনসমাগম না থাকায় চসিকের পক্ষে প্যাচওয়াক ও জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নির্বিঘেœ শেষ করার সুযোগ রয়েছে। এই সময় কাজ করতে গিয়ে জনদুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় না। তাই এ সুযোগকে কাজে লাগতে হবে। তিনি মশক নিধনের ক্ষেত্রে চসিকের পরিচ্ছন্ন টিমকে কাজে লাগাতে কাউন্সিলরদের সচেষ্ট হবার আহ্বান জানান।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার হালিশহর ও আরেফীন নগরে চসিকের ট্রাসিং গ্রাউন্ড পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, নগরীর আবর্জনা ও বর্জ্য মজুদের নির্ধারিত দু’টি স্থান (টিজি) থেকে স্তূপকৃত আবর্জনা ও মানববর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও কৌশলগত প্রয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করে স্থানগুলোকে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবান্ধব করে তোলা হবে। এ দু’টি স্থানে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অপসারিত প্রতিদিনের আবর্জনা ও মানববর্জ্য নিয়ে আসার ফলে জমা হওয়ায় এখন তা পাহাড়সম স্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে এলাকার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিঘিœত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্তূপকৃত বর্জ্য ও আবর্জনা সরিয়ে এগুলোকে শোধন করে জৈব সার ও জ্বালানি বা নিত্য ব্যবহার্য অন্য কোন পণ্যে রূপান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও সরঞ্জামগত সক্ষমতা চসিকের না থাকলেও আপাতত অন্য উৎসের সাহায্যে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। বিষয়টি অত্যধিক জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় অগ্রাধিকার দিতে চাই এবং এর কার্যকারিতা অর্জনে এখন থেকে কাজ করার প্রস্তুতি শুরু হলো।
মেয়র আরেফীন নগরে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত কবরস্থান পরিদর্শন করেন এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি সাগরিকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্টোর ও সংরক্ষণ গুদামের স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, শাহেদ ইকবাল চৌধুরী বাবু, মো. আবদুল মান্নান, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, আলহাজ মো. নুরুল আমিন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জাহেদা বেগম পপি, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, মির্জা ফজলুল কাদের, জয়সেন বড়–য়া, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।
বাসস/জিই/কেএস/১৯৩০/কেকে