উ. কোরিয়াকে এখনও মারাত্মক হুমকি মনে করছে জাপান

472

টোকিও, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক): যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সাথে আলোচনা সত্ত্বেও টোকিও উত্তর কোরিয়াকে এখনও মারাত্মক হুমকি মনে করছে। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমার পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় এ কথা বলা হয়। খবর তাসের।
২০১৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া পরিকল্পিতভাবে তিন দফা পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় এবং ৪০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
জাপানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক শ্বেতপত্রে আরো বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের সামরিক কর্মকান্ড জাপানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি। এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর শান্তি ও নিরাপত্তা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করতে তার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি লিখিতভাবেও এমন প্রতিশ্রুতি দেন। পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংসের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাপানের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পিয়ংইয়ংয়ের মোতায়েন করা কয়েকশ’ নদং ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের যেকোন স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়।
সেখানে তারা একটি যৌথ চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং কোরীয় উপদ্বীপকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেয়।
ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার দাবির প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধের প্রতিশ্রতি দেন।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি বছর শ্বেতপত্র প্রকাশ করে থাকে। ৫শ’ পাতার এ শ্বেতপত্রে নিরাপত্তা ইস্যু গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে।