চট্টগ্রামে করোনায় ৭ জনের মৃত্যু

200

চট্টগ্রাম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ২৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ৯৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ২৫২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৩৫ জন ও দশ উপজেলার ১৭ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৬ হাজার ৯৩৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৭ হাজার ৬৭৬ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ২৫৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় ৪ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, হাটহাজারী ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাউজান, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত ৭ রোগীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৫ জন শহরের এবং ২ জন গ্রামের। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৪৫৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৩৩৮ জন ও গ্রামের ১২১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৮৯ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হাজার ৩০৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮১০ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ৪৯৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৫ জন, ছাড়পত্র নেন ২২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৬ জনসহ ৭০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১০৩ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ জনসহ ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৫৩ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৬ টিসহ ৮৮ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪ টি নমুনায় গ্রামের ১ টিসহ ১৯ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৫৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টির ফলাফল পজিটিভ ও অবশিষ্ট ৫২ টির নেগেটিভ আসে।
তবে এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ, চমেকে ৩৬ দশমিক ৮৯, আরটিআরএলে ৫৭ দশমিক ৩৮, শেভরনে ২৪ দশমিক ৯৩, ইম্পেরিয়ালে ৩ দশমিক ৭০ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
চট্টগ্রামে গতকালের ৭ জনসহ চলতি মাসের ১৭ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭০ জনে। করোনাকালের সর্বোচ্চ ৯ রোগীর মৃত্যু হয় গত ১০ এপ্রিল। তবে এদিন এ মাসের সর্বনিম্ন ২২৮ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ১১ এপ্রিল জেলার সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এদিনও ৭ রোগীর মৃত্যু হয়। এ মাসে মৃত্যুশূন্য ছিল দুই দিন, ২ এপ্রিল ও ১৪ এপ্রিল।