বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (প্রথম কিস্তি) : রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য ডি ৮ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

190

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা ডি৮ সম্মেলন
রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য ডি ৮ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান
ঢাকা, ৮ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও যুবসমাজের সক্ষমতা বৃদ্ধিও জন্য ডি৮ নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
“আমি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগের জন্য আপনাদের (ডি৮ নেতাদের) প্রতি আহবান জানাচ্ছি” এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “যদি সংকটের অবসান না হয়, এটি এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে।” তিনি রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য জরুরি ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ কারণে দেশের পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতির ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ১০ম ডি৮ সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।
দেশ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে এমন একটি অনন্য সময়ে বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং সভাপতিত্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
তিনি বলেন, মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে তবে শুরু থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বতস্ফুর্তভাবে এবং টেকসই ব্যবস্থায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের তিন বছরের বেশী পরেও এখন পর্যন্ত প্রতাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারেনি।
দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে ডি ৮ এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করেছে, ১৯৯৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ডি৮ এর দ্বিতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
সম্মেলনে শেখ হাসিনা জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি প্রশমন ও অভিযোজনে ডি ৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা জন্য নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
চলবে-বাসস/এমএকে/অনু-এমএবি/১৮৩৮/কেএমকে