চট্টগ্রামে করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু

219

চট্টগ্রাম, ৭ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৩ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪শ’ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১৪ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৭৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৪১৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৭৩ জন ও জেলার ১৪ উপজেলার ১৩ টিতে ৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় সর্বোচ্চ ১০ জন, হাটহাজারীতে ৬ জন, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৫ জন করে, মিরসরাইয়ে ৩ জন, রাউজান, সীতাকু-, সন্দ্বীপ ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪২ হাজার ৭১৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৪ হাজার ১৯৪ জন ও গ্রামের ৮ হাজার ৫২১ জন।
গতকাল করোনায় তিন রোগী মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ৪শ’ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৯৪ জন ও গ্রামের ১০৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৭০ জন। জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৪ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ২৯ হাজার ৭৯৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৬৪ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন আক্রান্তের সংখ্যা চারশ’র বেশি শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার ৪৯৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনাকালের সর্বোচ্চ সংক্রমণও এ মাসের প্রথম দিন, ৫১৮ জন। অন্যদিকে, ২ এপ্রিল ছাড়া প্রতিদিনই এক বা একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বোচ্চ ৪ জন মারা যান ৩ এপ্রিল। চলতি মাসের ৬ দিনে ১১ করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারায় ঐ দিনই তিনশ’র নিচে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল। সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ওঠেছিল ১ এপ্রিল, ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১ হাজার ১ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১ জনসহ ৪৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৯৭ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৫ জনসহ ৫৫ জন করোনায় শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩২৫টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২৪টিসহ ১১৪টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪৯টি নমুনার ২৩টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৫২১ নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ৩টিসহ ৯৮টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩৬টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ৪৫টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১০২টির মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ৩১টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ২৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৫টির ফলাফল পজিটিভ আসে। এ ৫ জনই গ্রামের বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ২১, সিভাসু’তে ৩৫ দশমিক ০৮, আরটিআরএলে ৪৬ দশমিক ৯৪, শেভরনে ১৮ দশমিক ৮১, ইম্পেরিয়ালে ৩৩ দশমিক ০৯, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ দশমিক ৩৯ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ল্যাবে ২০ শতাংশ।