জীবন ছন্দে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় চসিক আইসোলেশন সেন্টার : মেয়র

197

চট্টগ্রাম, ৬ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ হার দ্রুত বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা। এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও অস্বস্তিকর। উদ্ভূত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চসিকের ব্যবস্থাপনায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান লালদিঘি পাড়ে লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে স্থাপিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা শুরু হলো জীবন ছন্দে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা ও অঙ্গীকার পূরণের স্বপ্ন নিয়ে।
তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে চসিক পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার সত্ত্বেও দিশেহারা হওয়া বা মনোবল হারানোর অবকাশ নেই। করোনার প্রথম থাবায় অনেক উন্নত দেশ হিমসিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হয়েছিল এবং অনেক উন্নত দেশের আগেই এ দেশে করোনা প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়। ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। এই সাফল্য ও অর্জন আশা জাগানিয়া। আমাদের মনে-প্রাণে এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমরা কখনো জীবন ও জীবিকার ছন্দ হারাবো না। আমরা যুদ্ধে বিজয়ী জাতি তাই করোনা যুদ্ধেও কিছুতেই হারাতে পারি না।
মেয়র বলেন, সবধরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, সামর্থ্য ও মনোবল উজাড় করে আপাতত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় এটার সম্প্রসারিত হবে এবং চিকিৎসক ও জনবল বাড়ানো হবে। এছাড়া, আরো কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
তিনি এখানে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা সেবাদানে নিয়োজিত তাঁদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ শতাংশ হারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়ার সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এতে নগরীর উন্নয়ন আরো বেগবান হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু অংশ চসিককে দেয়ার দাবিটি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আমার সাথে দেখা করতে এলে বিষয়টি তাঁকে অবগত করলে তিনি আমলে এনে বলেন, এ ব্যাপারে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতঃপর সিদ্ধান্তটি গৃহীত হওয়ায় চট্টগ্রাম নগরবাসী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞই নয়, তিনি অনন্তকাল অন্তরে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবু হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. মোহাম্মদ আলী।