বাসস দেশ-৩১ : সিলেট নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২৫ মামলা

87

বাসস দেশ-৩১
সিলেট- জরিমানা
সিলেট নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২৫ মামলা
সিলেট, ৬ এপ্রিল ২০২১ (বাসস): সিলেট নগরীতে লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এর বিশেষ অভিযানে গত দুইদিনে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৫ টি মামলা দায়েরসহ মোট ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট নগরীর কালিঘাট, মেন্দিবাগ এলাকায় সিসিক এর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজন কুমার সিংহ’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ এ আদালত পরিচালিত হয়।এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা দায়েরসহ তাদের কাছ থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নগরীর কালিঘাটে নিত্যপণ্যের বিভিন্ন পাইকাীর দোকানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করে পণ্য বিক্রয় এবং ফুটপাত দখল করে পণ্যের পসরা সাজানোর অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করা হয়।
এর আগে সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফা লকডাউনের প্রথমদিন অর্থাৎ শনিবার একই ভাবে দিনব্যাপী সিসিক এর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সরকারী নির্দেশনানুসারে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ১৯ টি মামলা ও বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার ৯ শত টাকা আদায় করা হয়েছে।
সিসিক এর জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লকডাউন পালনে সরকারের জারি করা ১১টি নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোারাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়-সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সিলেট নগরীর কালিঘাট বাজার এবং মেন্দিবাগ পয়েন্টে সরকারের এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকটি রেস্তেরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করছিল। সিসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জরিমানা করেন। এছাড়া রেস্তোরাঁয় উৎপাদিত বর্জ্য সুরমা নদীতে ফেলে পরিবেশ ও পানি দূষণের দায়ে সিসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক রেস্তোরাঁ মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সিলেট মহানগর পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯০৭/অমি