দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪ জেলায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

492

নড়াইল, ৬ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪ জেলায় ২লাখ ৩৮ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা অধিক জমিতে বোরো চাষ করেছেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪ জেলা হচ্ছে-নড়াইল, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতিে মৗসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ ৪ জেলায় মোট ২লাখ ৩৮ হাজার ২শ’৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০লাখ ৬১হাজার ৪শ’৪৯ মেট্রিক মেট্রিক টন চাল। এর মধ্যে নড়াইল জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭হাজার ৮শ’৭০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২লাখ ৬ হাজার ৬শ’১০ মেট্রিক মেট্রিক টন চাল।খুলনা জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭হাজার ৫শ’৪০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২লাখ ৫৭হাজার ৫শ’৪ মেট্রিক টন চাল। সাতক্ষীরা জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০হাজার হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩লাখ ৫১ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন চাল এবং বাগেরহাট জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫২হাজার ৮শ’৮০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২লাখ ৪৬ হাজার ১শ’৩৫ মেট্রিক টন চাল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নড়াইল সদর উপজেলার, লোহাগড়া উপজেলার মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ।কৃষাণ-কৃষাণীরা বোরো ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।আগাম জাতের পাকা বোরো ধান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কাটা শুরু হবে বলে কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা জানিয়েছেন। সবুজ ও আধাপাকা বোরো ধানের শীষে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন বেড়েছে তেমনি অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর কৃষাণ-কৃষাণীরা।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বোরো চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক চাষিদের প্রয়োজনীয় কৃষি লোন প্রদান করেছে।বাজারে সারেরও কোন সংকট নেই। বিভিন্ন জাতের চালের চাহিদা ব্যাপক থাকায় এ অঞ্চলে বোরো চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।