বাসস দেশ-৪ : বেগম জিয়ার আন্দোলনের হুমকি আসলে নাশকতার হুমকি : তথ্যমন্ত্রী

109

বাসস দেশ-৪
তথ্যমন্ত্রী -নাশকতা
বেগম জিয়ার আন্দোলনের হুমকি আসলে নাশকতার হুমকি : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আগস্ট, ২০১৮(বাসস) : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ফেরেশতা বা গণতন্ত্রের মাতা না, বরং জঙ্গি-সন্ত্রাসের আসল মাতা বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকি প্রকৃত অর্থে নাশকতারই হুমকি।
এই হুমকি আসলে আগুনসন্ত্রাসের হুমকি, নির্বাচন বানচালের হুমকি, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির হুমকি এ কথা উল্লেখ করে তিনি এই হুমকি থেকে রক্ষা পেতে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে ঈদোত্তর মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের ভেতর থেকে আন্দোলনের যে হুমকি দিচ্ছেন, তার আসল উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা । তবে বিএনপি যাই বলুক না কেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মাতা নন, তিনি হচ্ছেন জঙ্গি রাজাকারতন্ত্রের আসল মাতা।’
ইনু বলেন, ‘বেগম জিয়াকে নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র দুষ্কর্ম, হত্যাখুনের রাজনীতি, নির্বাচন বানচালের রাজনীতি, খুনীদের আশ্রয় দেবার রাজনীতি- এইসব আড়াল করবার জন্যে খালেদা জিয়াকে ফেরেশতার আসনে বসানোর চেষ্টা করছে বিএনপি।’
ঈদের মধ্যেও বিএনপি নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও একুশে আগস্টের মামলা নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও বড় বড় অপরাধকর্মের বিচার ও রায়ের সময় বিএনপি শোরগোল করে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চায়নি, একুশে আগস্টের জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার চায়নি, এমনকি আগুনসন্ত্রাসের নির্মম খুনেরও বিচার চায়নি। যখনই এসকল অপরাধের বিচার শুরু হয় এবং আদালত রায়ের দিকে এগিয়ে যায়, তখনই বিএনপি হৈচৈ শুরু করে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এই হৈচৈ এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই খুনীদের দুষ্কর্ম আড়াল করা। এটা বিএনপির একটা বদঅভ্যাস হয়ে গেছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল করা আদালত অবমাননার শামিল।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামালায় সরাসরি আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্যরা খুনীদের বিচার ও সর্বোচ্চ সাজা দাবি করলে তা আদালতের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল নয়। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে রায়ের আগের দিন পর্যন্ত সারাদেশের জনগণ সোচ্চার ছিল, এটা বাদীপক্ষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। বরং আদালতের ভেতরে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষে হৈচৈ করাটা আদালত অস্বীকার করা ও তোয়াক্কা না করার শামিল।’
সদ্য উদযাপিত ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী এসময় বলেন, এবারের ঈদে দেশের মানুষের শহর থেকে গ্রামে যাওয়া এবং ফেরা ছিল নির্বিঘœ। ঈদের জামাতগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ। জঙ্গি-সন্ত্রাসের হুমকি থেকে শেখ হাসিনার সরকার ঈদের জামাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।’
বাসস/সবি/কেসি/১৫৪৫/এমএবি