করোনায় চট্টগ্রামে ২ রোগীর মৃত্যু

219

চট্টগ্রাম, ৫ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ৩০৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল রোববার নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৩০৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৮০ জন এবং বারো উপজেলার ২৭ জন। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪১ হাজার ৮০৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৩ হাজার ৩৮২ জন ও গ্রামের ৮ হাজার ৪২৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ২৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ চন্দনাইশে ৬ জন, পটিয়ায় ৫ জন, বোয়ালখালীতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, রাউজান, সীতাকু- ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৯৫ জন। এর মধ্যে ২৯০ জন শহরের ও ১০৫ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৭১ জনকে। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৬৫৯ জন ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ২৯ হাজার ৬৮৫ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২৩৯ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ২ জনসহ এ মাসের প্রথম চার দিনে করোনায় আক্রান্ত ৭ রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ জন মারা যান ৩ এপ্রিল। এদিন ১ হাজার ৭৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২৩২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে মাসের প্রথম দিন করোনাকালের সর্বোচ্চ ৫১৮ জন এবং দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬৭ জনের সংক্রমণ শনাক্তের পর গত দু’দিন কিছুটা কমেছে। এর আগে, চট্টগ্রামে করোনাকালের সর্বোচ্চ ৪৪৫ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছর ৩০ জুন। চট্টগ্রামে প্রথম করোনার ভাইরাসবাহক ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে গ্রামের ৯ জনসহ ৪৬ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৭ জনসহ ৬৯ জনের মধ্যে ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ৫ জনসহ ৪৫ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ইম্পেরিয়ালে গ্রামের ২ জনসহ ১২০ এবং মা ও শিশু’তে গ্রামের ২ জনসহ ২৫ জনের শরীরে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে।
চট্টগ্রামের ৬৩টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের দু’টি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল ও শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে করোনার কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, চমেকে ১১ দশমিক ৬৫, আরটিআরএলে ৪৯ দশমিক ৪৫, ইম্পেরিয়ালে ৪৬ দশমিক ৮৭, মা ও শিশুতে ৪১ দশমিক ৬৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।