বাসস দেশ-৫৩
চট্টগ্রাম-লকডাউন-মেয়র
লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে হবে : চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম, ৪ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার ঘোষিত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাত দিনের লকডাউন প্রতিপালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের লালদিঘি পাড়স্থ চসিক পাবলিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দুইটি ফ্লোরে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী ৬ এপ্রিল আইসোলেশন সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
আজ রোববার সকালে বাটালি হিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ প্রমুখ।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, লকডাউনকে এক সপ্তাহ ছুটি মনে করার কোন অবকাশ নেই, এটা বাধ্যবাধকতা। আমরা আগে অবহেলা করেছি। এবার অবহেলার সুযোগ নেই। লকডাউনে চসিকের জরুরি সেবাসমূহ চালু থাকবে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন, আলোকায়ন কাজসহ, রাস্তার প্যাচওয়ার্ক, হাসপাতাল ও চসিক চিকিৎসা সেবাগুলো চালু থাকবে। তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই যেখানে জলজট হতে পারে সেখানকার স্বাভাবিক পানি চলাচল ও পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং নালা-নর্দমা-খালে আবর্জনা ও মাটি মুক্তকরণের কাজ চলমান থাকবে। এছাড়া মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খালসহ অন্যান্য খালের যে সকল স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে, সেখান থেকে জমাট পানি সরে যেতে বিকল্প পথ তৈরি করার কাজ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাঁধগুলো অপসারণ করতে হবে। তিনি চসিক কাউন্সিলরদেরকে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট, বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
এদিকে, মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নিকট চসিক ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দ ১০ হাজার মাস্ক হস্তান্তর করেছেন। আজ রবিবার অপরাহ্নে টাইগারপাসস্থ চসিক মেয়রের দপ্তরে এই সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এসময় চসিক ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু ফরহাদ সাবুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/জিই/কেএস/১৯৫১/কেকে