বাসস দেশ-৫১ : লকডাউনের আগে নগর ছাড়ার হিড়িক চট্টগ্রামে

131

বাসস দেশ-৫১
চট্টগ্রাম নগর-ছাড়ার হিড়িক
লকডাউনের আগে নগর ছাড়ার হিড়িক চট্টগ্রামে
চট্টগ্রাম, ৪ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে সাতদিনের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। লকডাউন এড়াতে ও কর্মহীন হয়ে আটকা পড়ার ভয়ে চট্টগ্রাম নগর ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। তবে যাত্রী ও চালক হেলপারদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানাটা একরকম উপেক্ষিতই লক্ষ্য করা গেছে।
রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রামের টার্মিনালগুলোতে একই অবস্থা দেখা গেছে। বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। রাত ৭টা পর্যন্ত ছিল একই অবস্থা।
বন্দর নগর ছেড়ে যাওয়া মানুষের ঢল নামে লঞ্চ টার্মিনাল ও রেল স্টেশনেও। তবে আসনের অর্ধেক টিকিট দেওয়া হচ্ছে ট্রেনে, বন্ধ রয়েছে স্ট্যান্ডিং টিকিটও। তাই রেল স্টেশনে যাত্রী বাড়লেও অনেককে বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজে
ফিরে যেতে দেখা যায়। দূরপাল্লার বাসগুলোতে নিয়মিত যাত্রীদের পাশাপাশি ছাদেও দেখা গেছে ভিড়।
চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট, দামপাড়া, কদমতলী, অলংকার বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, সদরঘাট নৌ টার্মিনালে দেখা গেছে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে, ঈদের ছুটিতে দলবেঁধে বাড়ি ফিরছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও, তা মানতে দেখা গেছে খুব কম সংখ্যক মানুষকে।
নগরীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার পঞ্চাশোর্ধ্ব ছলিম গাজী। তিনি বলেন, শনিবার রাতে প্রকল্প পরিচালক লকডাউনের কথা জানান, এই সাতদিন কোনো কাজ থাকবে না। আমরা দিনমজুরের কাজ করি। দৈনিক ৭০০ টাকা করে পেতাম। এখন তো সেটা বন্ধ। এই সাতদিন খাব কী ? থাকব কোথায় ? তাই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি।
স্টেশন রোড সৌদিয়া কাউন্টারের ম্যানেজার কামাল উদ্দিন বলেন, যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ সামলাতে তাদের কোম্পানীসহ দূরপাল্লার কয়েকটি বাস সার্ভিসকে অতিরিক্ত বাস নামাতে হয়েছে। শিডিউলের বাইরেই অতিরিক্ত বাস যোগান দিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে পরিবহন সেবা সংস্থাগুলো। এরমধ্যে সৌদিয়া, হানিফ পরিবহন, শ্যামলীসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষ পরিবহন সংস্থাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র চট্টগ্রাম কাউন্টার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন জানান, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো যাত্রীর কাছে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হলে তিনি যেন বিআরটিএ’র কাউন্টারে অভিযোগ জানান। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিব।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ক্লিনার ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে যাত্রীদের কারও কারও মুখে মাস্কের দেখা মিললেও বেশ কয়েকজন চালক-হেল্পারের মুখে মাস্কের দেখা মেলেনি। অধিকাংশ গাড়িতেই দেখা যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা কোনো জীবানুনাশক স্প্রে।
বাসস/জিই/কেএস/১৯৪৪/কেকে