বাসস ক্রীড়া-১৫ : জিমন্যাস্টিকসে আনসারের দাপট

83

বাসস ক্রীড়া-১৫
বঙ্গবন্ধু-গেমস- জিমন্যাস্টিকস
জিমন্যাস্টিকসে আনসারের দাপট
ঢাকা, ৪ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : বাংলাদেশ আনসারের দাপটে শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের জিমন্যাস্টিকস ইভেন্ট।
সবমিলিয়ে ৫টি স্বর্ন, ৩টি রৌপ্য, এবং ৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৫টি পদক জয় করে আনসার পদক তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। তালিকায় দ্বিতীয় হওয়া বাংলাদেশ পুলিশ ৪টি স্বর্ন, ৫টি রৌপ্য, ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১২টি পদক লাভ করেছে। ৩টি স্বর্ন, ২টি রৌপ্য, ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৮টি পদক জিতে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।
তালিকায় চতুর্থ স্থান পাওয়া কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজ ২টি স্বর্ন, ৪টি রৌপ্যসহ মোট ৬টি পদক জয় করেছে। একটি ব্রোঞ্জ জিতে তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করেছে শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমন্যাশিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শোয়েব রিয়াজ আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন এবং সাধারন সম্পাদক মো.আহমেদুর রহমান বাবলু।
জিমন্যাস্টিকসের শেষ দিনে আরও দুই ইভেন্টের পদক নিস্পত্তি হয়েছে। মেয়েদের ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে ১০.২৫ স্কোর করে স্বর্ন পদক জিতেন বাংলাদেশ আনসারের নূর আক্তার বানু। এবারের আসরে এটা তার চতুর্থ স্বর্ন। এর আগে মেয়েদের ব্যক্তিগত ব্যালেন্স বীমা, অল-অ্যারাউন্ড এবং দলগত আর্টিস্টিকস ইভেন্টে স্বর্ন জিতেন নূর আক্তার বানু। ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে রৌপ্য জয়ী বাংলাদেশ পুলিশের সোনিয়া আক্তারের স্কোর ১০.১০। এতে ব্রোঞ্জ জয় করা বাংলাদেশ আনসারের শান্তা ইসলাম করেন ৯.৮০।
ছেলেদের ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে ১১.৯০ স্কোর করে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাজিদ হক। এতে রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশ পুলিশের আবু সাইদ রাফি। তার স্কোর ছিল ১১.৭০। ব্রোঞ্জ জেতা শেরপুর বিভাগের ভানুম নুয়ামের স্কোর ছিল ১১.০৫।
পদক তালিকা
দল স্বর্ন রৌপ্য ব্রোঞ্জ মোট পদক
বাংলাদেশ আনসার ৫ ৩ ৭ ১৫
বাংলাদেশ পুলিশ ৪ ৫ ৩ ১২
বিকেএসপি ৩ ২ ৩ ৮
কোয়ান্টাম ২ ৪ ০ ৬
শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা – – ১ ১
বাসস/এএসজি/এমএইচসি/১৮৫৬/স্বব