বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘এক্সারসাইজ শান্তির অগ্রসেনা’র উদ্বোধন

193

ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসে আজ রোববার আন্তর্জাতিক সামরিক প্রশিক্ষণ ‘এক্সারসাইজ শান্তির অগ্রসেনা’র উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার নিরলস প্রচেষ্টাকে সমুন্নত রাখতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড এর জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, ১৯ পদাতিক ডিভিশন এবং এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়ার মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বহুজাতিক এই সামরিক অনুশীলনে মোট ১১টি দেশের প্রতিনিধি যোগদান করছে। এই প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ হতে ৩০ জন, ভারত হতে ৩০ জন, শ্রীলংকা হতে ৩০ জন এবং ভুটান হতে ৩৩ জনসহ মোট ১২৩ জন সেনাসদস্য সরাসরি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেপাল, তুরস্ক, সৌদি আরব, ভারত, শ্রীলংকা ও ভুটানের মোট ১৯ জন অবজারভার অংশগ্রহণ করছে।
বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিই এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ পারস্পরিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত তথ্য বিনিময় করে সহযোগী কাজের পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হবে।
প্রশিক্ষণে সামরিক অপারেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের আলোচনা ও বিভিন্ন প্রকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
প্রশিক্ষণটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত অত্যাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদি ও মিলিটারি গ্যাজেটসমূহ সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে সকলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী সদস্যদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই অনুশীলন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। উক্ত সামরিক প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসে চলবে।