জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে তথ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

402

ঢাকা, ৩ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে দেশের চলচ্চিত্র জগতের পরিচালক, প্রযোজক, প্রদর্শক, শিল্পী, কলাকুশলী, দর্শক-অনুরাগীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।
তথ্যমন্ত্রী আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের সকালে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবন থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের এই দিনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন ও বিলটি পাশ হওয়ার মাধ্যমে এদেশে চলচ্চিত্রের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
সেই থেকে গত কয়েকদশকে দেশে বহু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, বহু কালজয়ী শিল্পীর উত্থান ঘটেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাসংগ্রামে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর দেশগড়ার ডাকে সাড়া দিয়ে যুবসমাজকে দেশগঠনের কাজে উৎসাহিত করতে চলচ্চিত্র ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা ও অর্থ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সেগুলো হলে মুক্তি দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সিনেমা হল নির্মাণ, সংস্কার ও বন্ধ হল চালু করতে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠিত হয়েছে, যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে গঠন করা হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট। অচিরেই আমাদের চলচ্চিত্র বিশ্ব অঙ্গনে স্থান করে নেবে, আশাপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিসহ সীমিত সংখ্যক সাংবাদিক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই দিনকে স্মরণ করে ২০১২ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দিনটি চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে উদযাপন করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। তবে বিশ্বব্যাপী এবং স¤প্রতি দেশে করোনা মহামারীর সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবনের সুরক্ষার অংশ হিসেবে সব অনুষ্ঠানই সীমিত রাখা হয়েছে।