বাসস সংসদ-৬ (প্রধানমন্ত্রী) (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে প্রতিহত করতে দেশবাসীর সহয়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

112

বাসস সংসদ-৬ (প্রধানমন্ত্রী) (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-শোক প্রস্তাব-আলোচনা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে প্রতিহত করতে দেশবাসীর সহয়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু হয় সকাল ১১টায়। প্রয়াত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পত্রিকার সম্পাদক, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিক কর্মীসহ বিশিষ্টজনের মৃত্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় সংসদে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি এটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক। মাহমুদ উস সামাদ ভালো সংগঠক ছিলেন। তিনি শিশুদের সচেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত করার কাজ করে গেছেন। যখনই শুনলাম তিনি করোনায় আক্রান্ত, ব্যবস্থা নিতে না নিতেই তিনি চলে গেলেন। অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে সিলেটের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামকে স্মরণ করে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যখন থেকে গঠিত হয় তখন থেকেই তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন আমলা হলেও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনকন্ঠ সম্পাদক সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ২০০১ সালে পাকবাহিনীর স্টাইলে বিএনপি-জামায়াতের দেশের দক্ষিণ জনপদের মানুষ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র পত্রিকায় পাতায় তুলে ধরতে তার সাহসি ভূমিকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৬৫৫/আরজি