বাসস দেশ-৬ : চট্টগ্রামে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২১২ জন

102

বাসস দেশ-৬
চট্টগ্রাম-কোভিড-মৃত্যু
চট্টগ্রামে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২১২ জন
চট্টগ্রাম, ৩০ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : করোনায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২১২ জন আক্রান্ত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময় সুস্থ হয়ে ওঠেন ৭০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল সোমবার নগরীর ছয়টি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২১২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৮৮ জন এবং নয় উপজেলার ২৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৮ জন, মিরসরাইয়ে ৫ জন, হাটহাজারী, সীতাকু-, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং রাউজান, ফটিকছড়ি ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজার ৭০৬ জনে দাঁড়ালো। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩১ হাজার ৫৪১ জন ও গ্রামের ৮ হাজার ১৬৫ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ৩৮৬ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৮৩ ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭০ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ২৯ হাজার ৩৬৫ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৬৯ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এ মাসে গতকালসহ ৯ দিন দুই শতাধিক এবং একদিন তিন শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়। ২৬ মার্চ ৩৫৩ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্তের দিনটি ছিল বিগত নয় মাসের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এছাড়া, পরপর দু’দিন দুই রোগীর মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। এখানে ৭০৪টি নমুনার মধ্যে ২৩টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬৮৪ জনের নমুনায় গ্রামের ৪ জনসহ ৫৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০১ জনের মধ্যে গ্রামের ৭ জনসহ ৩৪ জন আক্রান্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৫০টি নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ৪টিসহ ৩২ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৭টিসহ ৪৫টি এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৯টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ২২টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ১৯, চবি’তে ৩৩ দশমিক ৬৬, শেভরনে ১৬ দশমিক ০১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৬ দশমিক ৪১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১৩৪০/-আসাচৌ